চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নগরীর চশমা হিলে বাবার কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ষোলশহরের চশমাপাহাড় জামে মসজিদের সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে বাদ আসর বন্দরনগরীর ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে সাবেক মেয়রের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. আনিসুজ্জামান।
জানাজায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, এমপি ডা. আফসারুল আমীন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
জনমানুষের নেতা চট্টল বীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর জানাজায় লাখো মানুষের ভিড়ে লালদিঘী ময়দদান ছাড়িয়ে আশপাশের বিভিন্ন এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিনের মরদেহে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। শ্রদ্ধা জানায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে দুপুরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিময় স্থান নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাণের নেতা মহিউদ্দিনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামবাসী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে বন্দরনগরীর মেহেদিবাগে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবিএম মহিউদ্দিন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।