বানারীপাড়ায় সম্পত্তি ক্রয় করে ৩৫ বছর ধরে প্রতারণার স্বীকার অসহায় একটি পরিবার

:
: ৪ years ago
??????

৩৫ বছর পেরিয়ে গেলো তার পরেও কথা রাখেনি সম্পত্তির মালিক। বানারীপাড়া প্রেসক্লাবে এসে কান্না জড়িত কন্ঠে এমনই কথা জানালেন, সাত কন্যা সন্তানের জনক ছেলে সন্তানহীন সেলিম মোল্লা নামের অসহায় এক বৃদ্ধ।

 

তিনি জানান, ১৯৮৬ সালের শেষের দিকে ১০ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রয় মূল্যে সম্যক টাকা নগদ গ্রহন করে সম্পত্তির মালিক তাকে দখল বুঝিয়ে দেন।

 

সম্পত্তির মালিক বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার খানের ছেলে আব্দুর রহিম খান তার বিক্রিত সম্পত্তি অসহায় সেলিম মোল্লাকে দখল বুঝিয়ে দেবার পরে অদ্যবদি তা রেজিষ্ট্রি করে না দেয়ায় সে দুইবার ব্রেইনস্ট্রোক করে বর্তমানে প্রতিবন্ধীদের মতো আচরণ করছেন।

 

সু-চতুর আব্দুর রহিম খান সেলিম মোল্লার কাছে যে সম্পত্তি বিক্রয় করেছেন তাহার তফসীল জেলা বরিশাল, থানা বানারীপাড়া, জে.এল ৪২নং বানারীপাড়া মৌজার এস.এ ৫১০নং খতিয়ানের হাল দাগ ১৫২নং দাগের অন্তর্গত ৩০ শতাংশ সম্পত্তি হইতে ১০ শতাংশ সম্পত্তি।

 

বিক্রিত ওই ১০ শতাংশ সম্পত্তি বানারীপাড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সুব্রত লাল কুন্ডু ও গোপাল চন্দ্র শীলদের বাড়ি সংলগ্ন। সেলিম মোল্লা ৩৫ বছর পূর্বে ওই সম্পত্তি দখল পেয়ে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করা সহ বিভিন্ন ধরণের ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করেছেন।

 

ওই সম্পত্তিতে তার পিতা-মাতাকেও সমায়িত করা হয়েছে অনেক বছর পূর্বে। পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাস্কও দেন তিনি। যাহার নং-২১,বৈদ্যুতিক মিটারও স্থাপন করা হয়েছে তার নামে।

 

এদিকে আব্দুর রহিম ৩৫ বছর পেরিয়ে যাবার পরেও সম্যক স্বাক্ষাত না করে বিভিন্ন ভাবে এবং তার লোকজন দিয়ে অসহায় বৃদ্ধ সেলিম মোল্লাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

 

সেলিম মোল্লা আরও জানান, এ নিয়ে বহুবার বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু, বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য গোপাল চন্দ্র শীল,

 

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আনোয়ার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সাথে শালিশ মিমাংসার কথা বলে তারিখ দিয়েও সময় মতো উপস্থিত হয়নি চতুর আব্দুর রহিম।

 

যে বিষয়টি বানারীপাড়া প্রেস ক্লাবের ১৫ বারের সভাপতি রাহাদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন সহ অন্য প্রতিবেশীরা অবগত আছেন। পরে অসহায় ওই বৃদ্ধ ২০২০ সালের আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ বানারীপাড়া থানায় রহিমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেণ।

 

অভিযোগের পরে বানারীপাড়া থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন রহিমকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালেও সে কোণ প্রকার কর্ণপাত করেনি।

 

রহিম বর্তমানে ঢাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। ৩১ আগস্ট বিষয়টি বানারীপাড়া উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

 

সর্বশেষ রহিমকে উকিল নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানাগেছে। বৃদ্ধ অসহায় সেলিম মোল্লা বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন এই ভেবে সে মারা গেলে সাতটি মেয়ের কি হবে। কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তারা। রহিমের বিচার কি আদৌ কেউ করতে পারবে না।