বানারীপাড়ায় ভুয়া তথ্য দিয়ে ৬ জনকে আসামী করার অভিযোগ

:
: ৭ years ago

বানারীপাড়ায় মারধরের মিথ্যে তথ্য দিয়ে একই পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ভানান গ্রামের মৃত শওকত আলী ফকিরের ছেলে মোঃ নূরুল হক ফকির জানান,তাদের একই বাড়ির মৃত মোকলেছ ফকিরের ছেলে মহিউদ্দিন ফকির তার বোন তহমিনা বেগম (৬০) ও কচুয়া মাদরাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছেলে গোলাম মাওলা (১০) কে মারধরের অভিযোগ এনে থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

মারধরের ঘটনাটি ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে। ওই দিন মূলত মহিউদ্দিন ফকিরের ছেলে গোলাম মাওলা (১০) ও নূরুল হকের নাতি মোঃ মোস্তাকিন (৬)’র মধ্যে একটি কলাগাছ নিয়ে দস্তাদস্তি হয়। তখন উভয়ের ডাকচিৎকারে মাওলার পক্ষে ফুপু তহমিনা বেগম ও মোস্তাকিনের পক্ষে দাদি সখিনা বিবি (৫৫) ও তার মা মাকসুদা (২২) ছুটে আসলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয়ই সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হয়। তবে তহমিনা বেগম মাকসুদার হাতে কামর দিয়ে উল্টো বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় বলেও নূরুল হক ফকির জানান। তবে তার ভাই অভিযোগ দায়ের করার পরক্ষনেই সে নাম কাটিয়ে চলে যায় বলেও জানান নুরুল হক। এর পরেও তাকে সহ তার পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে ওই দিনই মহিউদ্দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ভানান গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ কাজল হোসেন জানান,মারধর হয়েছে কিনা জানিনা,তবে মহিউদ্দিন সাহেব এলাকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সব সময় লেগে থাকেন। এমনকি তার কারনে ওই বাড়ির তিনটি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। স্থানীয় মসজিদের নির্বাহী সদস্য মোঃ মিঠু মোল্লা জানান,মহিউদ্দিন সাহেবের আচারণ বহু বিবাহ করা এবং ছেড়ে দেওয়া যার জন্য তাকে মসজিদে আসতে পর্যন্ত বারন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মহিউদ্দিন সাহেবের বক্তব্য জানতে তার ব্যাবহৃত (০১৭৪৭-১০১৮৬১) নম্বরের মুঠোফোণে কয়েকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। হয়রানি হওয়া পরিবারটি প্রসাশনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান,অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।