চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হচ্ছে না। তবে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন ও পরীক্ষা কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা জোরদারসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে আজ বিকেলে পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসবে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানান, প্রশ্ন ফাঁসের বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। তিন শতাধিক মোবাইল ও ফোন নম্বর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেয়া হয়েছে। তারা সেসব বিষয়ও যাচাই-বাছাই করে দেখছে। এ কারণে কোনো পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশ করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে আর প্রশ্ন ফাঁস না হয় তেমন কিছু সুপারিশমূলক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। রোববার বিকেলে বৈঠকের পর সেটি চূড়ান্ত করে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হবে।
ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সচিব আলমগীর হোসেনকে পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রথম দফায় বৈঠকে বসে কমিটি।
কথা ছিল এ কমিটি যদি ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে আসল প্রশ্নপত্রের মিল পায় তবে পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
গত কয়েকবছর ধরেই চলে আসা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায় বলে খবর আসছে গণমাধ্যমগুলোতে।