বাজে গল্পের সিরিয়াল ভারতে সামাজিক সমস্যা বাড়াচ্ছে : মমতা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ভারতের সিরিয়াল নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। শরীর ভর্তি গহনা নিয়ে পরিপাটি সাজে রান্নাঘরে রান্না করা, বউ-শাশুড়ির নেতিবাচক সম্পর্ক, পরচর্চা, নারী পুরুষের সম্পর্কে বহুগামিতা- ইত্যাদি বিষয়গুলোকেই ভারতীয় সিরিয়ালগুলোতে। এটা যেমন কলকাতার বাংলা ভাষার সিরিয়ালে তেমনি অন্যান্য ভাষার সিরিয়ালগুলোতেও দেখা যায়।

বিভিন্ন সময় ভারতের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা এইসব সিরিয়াল নিয়ে প্রতিবাদী মন্তব্য করেছেন। এবার সেই পালে নতুন হাওয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গতকাল শুক্রবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৫ হাজার কেবল অপারেটর ও ৩০টির মতো এমএসওদের নিয়ে এক বৈঠকে বসেন মমতা। এ সময় সেখানে টলিউডের একঝাঁক তারকা, পরিচালক ও প্রযোজক উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তিনি সিরিয়াল নিয়ে নিজের ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সিনেমা এবং সিরিয়ালের কারণে সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। আমাদের সিনেমা ও সিরিয়ালে আজকাল আমরা সমাজের খারাপ দিকটা দেখিয়ে দেই। অথচ আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকাল ভালো জিনিস লোকে খুব কম গ্রহণ করে। খারাপ জিনিসটা অনেক তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে। তাই চেষ্টা করতে হবে খারাপ জিনিসটা না দেখানোর। ভালোটাকে গ্রহণ করানোর অভ্যাস তৈরি করাতে হবে।’

বাংলা সিনেমা ও সিরিয়াল জগতের সঙ্গে যুক্ত প্রযোজক ও পরিচালকদের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক গল্পে বেশি বেশি কাজ করুন। এক ঘরে একজনের তিন-তিনটে বউ দেখানোর দরকারটা কি? এসব দেখে সমাজ কী শিখে? সব বাজে গল্প দেখানো হচ্ছে।’

সিরিয়ালের গল্প নিয়ে ঠাট্টার ছলে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা ছেলের বাবা নেই, বাবার পরিচয় নেই। একজনের ঘরে তিন-চারটে বউ, তিন-চারটে কুটুন্তি (কুমন্ত্রণাদাত্রী)। একজন আরেকজনকে বিষ খাইয়ে দিচ্ছে। শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যে রোজকার ঝামেলা। যত খারাপ খারাপ জিনিস যারা জানে না তাদেরও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়ালের মধ্যমে। এর ফলে সমাজে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সামজিক অবক্ষয় ঘটছে।’

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, এখন ইউটিউবের মাধ্যমে যা দেখানো হচ্ছে, তা আগেকার লোক দেখলে তো আঁতকে উঠত। সবকিছু সহ্য হয়ে গেছে তাই যা রক্ষে। তবে সবকিছুকে ভালো চিন্তার দিকে ধাবিত করা উচিত।’