দেশে মাদক তৈরি না হলেও বাইরে থেকে মাদক আসছে বলে সংসদে স্বীকার করে নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না। তবে বাইরে থেকে মাদক দেশে প্রবেশ করছে। এর ভয়াবহতায় শহর থেকে গ্রামও আক্রান্ত হচ্ছে। খুব সহজে যুব সমাজের কাছে এটা এসে পৌঁছে যাচ্ছে। সে কারণে এর ভয়াবহতার শিকার হচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ( ৪১) এমপি কাজী রোজির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এটি এতই ছোট যে এটি বহন করাও বেশ সুবিধাজনক। সে কারণে এটি ক্রিমিনালদের হাতে সহজে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বর্ডার এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ কোস্টগার্ড এটি প্রতিরোধে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক মাদক ব্যবসায়ী বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আমরা গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছি। আবার অনেক জলদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছে। বাকিদের ধরার জন্য জোর তদন্ত চলছে। মাদক যাতে না আসে সে ব্যাপারে যা যা করার তা করছি। তবে এর পরেও কিছু কিছু মাদক বিশেষ করে ইয়াবা আমাদের দেশে প্রবেশ করছে।
পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়
বেগম হাজেরা খাতুনের ( মহিলা আসন-৩৯) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণের অনুপাতে পুলিশের জনবল যতেষ্ট নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও আধুনিকায়নের জন্য বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী মেয়াদে বিভিন্ন পদে মোট ৩৩ হাজার ১০২টি এবং চলতি মেয়াদে ৫০ হাজার পদ সৃষ্টি করেছে। ফলে পুলিশ ও জনসংখ্যার অনুপাত ক্রমন্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ অনুপাত আরো কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পুলিশের জনবল বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
এমপির স্ত্রীরা পাবেন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স
সরকারদলীয় সদস্য রহিম উল্লাহ’র (ফেনী-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালা-২০১৬ অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম বাংলাদেশের সব নাগরিককে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়। কাজেই বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী কতিপয় শর্ত পালন সাপেক্ষে সংসদ সদস্যের স্ত্রীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে কোনো বাধা নেই।