বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ বরিশালে শিশু বান্ধব নগরী গড়ে তোলা হবে: সাদিক আবদুল্লাহ

:
: ৫ years ago
????????????????????????????????????

পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে চলে আয় আয় আয় এই শ্লোগান নিয়ে বরিশাল শহরের কালীবাড়ি রোডস্থ জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, বরিশাল শাখার আয়োজনে উদ্বোধন করা হয়েছে ৩ দিন ব্যাপি পৌষ মেলা ও পিঠে-পুলি পণ্যমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১৪২৫।

আজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন বরিশালের যুবরত্ন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজল ঘোষের সভাপতিত্বে পৌষ মেলার উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, আগামীতে বরিশাল নগরীতে বাংলা থেকে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসা গ্রাম বাংলার পুরানো ঐতিহ্য রক্ষা করে ধরে রাখাসহ শিশু বান্ধব নগরী গড়ে তোলার জন্য আমি সর্বাত্বকভাবে  সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাব। একাজের জন্য নগরবাসী সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি। এছাড়া এই নগরী শুধু সিটি মেয়রের একার নয় এ শহর সকলের তাই শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা জন্য নিজ নিজ ভাবে পালন করার আহবান জানান।

পৌষ মেলা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি) মোঃ মোশারফ হোসেন।
এসময় আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বরিশালের বিশিষ্ট নাট্যজন সৈয়দ দুলাল, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা পঙ্কজ রায় চৌধুরী, সরকারী বিএম কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দেবাশীষ হালদার, বরিশালের সাদা মনের মানুষ বিজয় কৃষ্ণ দে ও মেয়র পত্নি লিপি আবদুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম ও জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, বরিশাল শাখার সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার বড়াল।

এর পর্বে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি পুলিশ কমিশনার মোঃ মোশারফ হোসেন মোমের প্রজ্জলন জালিয়ে ও বেলুন-ফেষ্টুন উড়িয়ে ৩দিন ব্যাপি পৌষমেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

এরপরই মুরাদের নৃত্য শিল্পিরা মেলায় আসা দর্শকদের জন্য নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়া পৌষ মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় কবিতা, আবৃতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, সঙ্গীত ও নাটক। অন্যদিকে বিকাল তিনটায় কমিটি আগামী ভবিষৎ শিশুদেরকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পরিচিত করে তোলার জন্য তিনটি গ্রুপে তিন শতাধিক শিশুকে নিয়ে আয়োজন করা হয় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা। মেলায় গ্রাম বাংলার বিভিন্ন রকমের শীত পৌষের পিঠা তৈরী করে বিশটি স্টলে তা প্রদর্শন করা হয়।