সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশ, নাশকতা রোধে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পাঁচ রাজ্যে ‘বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড’ চালু করতে চলেছে ভারত সরকার।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কলকাতায় এক বৈঠকের পর এই কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
প্রধানত বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ ৪০৯৬ কিলোমিটার বিস্তৃত সীমান্ত আরও সুরক্ষিত রাখতেই ফিজিক্যাল ও নন-ফিজিক্যাল বেরিয়ারের পাশাপাশি সীমান্তে এই ধরনের গ্রিড চালুর চিন্তাভাবনা নিয়েছে সরকার।
রাজনাথ বলেন ‘বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৪০৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমানা। এর মধ্যে ৩০০৬ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। বাকী ১০৯০ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত। সেখানে টেকনোলজিক্যাল সলিউশন প্রয়োগ করা হবে। এই অঞ্চলটি দুর্গম হওয়ার কারণেই সেখানে ‘নন ফিজিক্যাল বেরিয়ার’ অর্থাৎ ডে-লাইট ক্যামেরা, সেন্সর, র্যাডার, লেসার’এর সহায়তার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। প্রথমে অাসামের ধুবড়ি সেক্টরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান ‘সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে ফিজিক্যাল ও নন-ফিজিক্যাল বেরিয়ার ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের পুরোটাই ‘বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড’এর অধীনে নিয়ে আসা হবে। এই গ্রিডের অধীনে সীমান্তে নজরদারি চালু রাখতে সারভেলেন্স সিস্টেম, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ, রাজ্য ও কেন্দ্রের কিছু নিরাপত্তা এজেন্সি থাকবে।
প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি স্ট্যাডিং কমিটি এই গ্রিডের নজরদারিতে থাকবে’। এর ফলে সীমান্ত আরও সুরক্ষিত হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ‘বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেহেতু খুবই শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে পুরো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না থাকার কারণে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। আমি মনে করি যে কোন ঘটনার মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকা উচিত’।
এদিনের আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গটিও উঠে আসে। রাজনাথ জানান ‘সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কারণ সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে পারে। সেই কারণে আমাদের সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আমরা অনেকটাই দমন করতে পেরেছি। কিন্তু কিছু সন্ত্রাসবাদী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে যদিও প্রতিবেশি এই দেশটির সহায়তায় ওই জঙ্গিদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে’।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে এদিন বিকাল তিনটায় শুরু হয় বৈঠক, তা চলে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, অাসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থান হাওলা এবং মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তারা, ছিলেন বিএসএফ সহ নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির কর্মকর্তারাও।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com