বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটসের ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

শনিবার রাজধানীতে ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা
আয়োজন করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন।
শনিবার বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম খলিল মজুমদারের সভাপতিত্বে সুপ্রিম
কোর্ট অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইব্রাহীম খলিল মজুমদার বলেন, যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। যুদ্ধের ভয়বহতা কতটা
তীব্র, যন্ত্রণাদায়ক এবং অমানবিক তা একবিংশ শতাব্দীতে বলার অপেক্ষা রাখে
না। যুদ্ধ ধ্বংস করে চলছে মানবিকতা, মূল্যবোধ, বিশ্ববিবেক এবং সব
সৃজনশীলতাকে। সভ্যতা, মানবিকতা, জাতীয়তা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি,
রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক, সামাজিক সম্পর্ক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং
সৌহার্দ্য টিকিয়ে রাখতে সৃজনশীল মানবিক পৃথিবী গড়তে যুদ্ধ বন্ধের বিকল্প
নেই।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে পৃথিবীকে বাঁচানো জরুরি
হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে সাম্রাজ্যবাদী
শক্তিগুলোকে অস্ত্র বিরতির সকল শর্ত মানতে হবে এবং সেই সাথে সকল প্রকার
অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। সাম্রাজ্যবাদ শক্তিগুলো তাদের অস্ত্র
ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে, এই ব্যবসার প্রসার ঘটাতে দেশে দেশে এবং দেশের
অভ্যন্তরে নানা কৌশলে যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখেছে। পৃথিবীর পরাশক্তি দেশগুলো
প্রতি বছর সামরিক খাতে যে পরিমাণ ব্যয় করে যদি এক বছর এই ব্যয় সংকোচন করে
তবে সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে গোটা পৃথিবীর মানুষের খাদ্য এবং শিক্ষার
নিশ্চয়তা করা সম্ভব হতো। আজকের পৃথিবীর জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন নয়,
প্রয়োজন মানবিক শক্তি, মূল্যবোধ ও মানবিক শিক্ষার।তাই আমাদের এবারের
প্রতিপাদ্য ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’।

আলোচনা সভার পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীদের শপথ পাঠের এ অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক
নাসিম ও উদ্বোধন করেছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মোঃ আব্দুন
নুর দুলাল। এছাড়াও অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাশেষে আবুল বাসার বাদলের তত্ত্বাবধানে পালকি শিল্পী গোষ্ঠীর
পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।