প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্প-১৯’ টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ফাইনালে গণবিশ্ববিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে ফারইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে, পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেন আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করা যায় সে পদক্ষেপও নিয়েছে। প্রায় একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছে সরকার। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চার প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের তরুণ, যুব ও শিশু সমাজ সম্পৃক্ত হবে এটাই ছিল প্রত্যাশা।’
টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলোয়াড়, শিক্ষক, সংগঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ আয়োজক সংস্থার সবাইকে অভিনন্দন। এ সময় ছোট-বড় সবাইকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তোলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজয়ী ও বিজিতদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলায় হারজিত থাকবে। আজ হারলে কাল জিতবো। জাতির পিতা সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। সব সময় হার না মানার মানসিকতা ছিল তার। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। সেভাবে আজ যারা বিজয়ী, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যারা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।
পরিবারের সদস্যদের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। দাদা ও বাবা ফুটবল খেলতেন। শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রী স্পোর্টসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। খেলাধুলার উন্নয়নে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ শেখ কামাল নিয়েছিল। খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে ছেলে-মেয়েরা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা পাবে, মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। খেলাধুলার এ প্রতিযোগিতা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এরপর শুরু করবো আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে আমরা অনেক ভালো খেলোয়াড় পাবো, তাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা অর্জন করবো। এক সময় আমরা বিশ্বকাপ জয় করবো।