বাংলাদেশে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

লেখক:
প্রকাশ: ২০ ঘন্টা আগে

তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল খাতের ২০টিরও বেশি নতুন চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।

 

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ কথা জানান। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসে এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “গত বছর হতে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল খাতের ২০টিরও বেশি নতুন চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। যা বাস্তবায়িত হলে উক্ত খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে।”

 

তিনি বলেন, “চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিশেষ করে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন (ইলেকট্রনিক ভেহিকেল) খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে। তবে এই খাতে বিদ্যমান উচ্চ শুল্ক এবং সহায়ক নীতিমালার অনুপস্থিতি সংশ্লিষ্ট খাতের বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে।”

রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, “বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা নিয়ে, সংশ্লিষ্ট নীতিমালার যুগোপযোগীকরণে উদ্যোগী হবে”। ঢাকা চেম্বারকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 

তিনি জানান, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত হতে। যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়, এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনাময় অন্যান্য খাতকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণের আহ্বান জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের জন্য চীন সর্ববৃহৎ আমদানিকারক দেশ। দেশটির সাথে বিশেষ করে অবকাঠামো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, শিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বহুমাত্রিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও কৃষি ও খাদ্যপণ্য খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্য-প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, লজিস্টিকস, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য সেবা, এপিআই, সেমিকন্ডাক্টর এবং জাহাজ নির্মাণ প্রভৃতি খাতে চীনের সার্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান তাসকীন আহমেদ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা এবং এলডিসি উত্তরণের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি বৈশ্বিক বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তায় চীনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 

তাসকীন আহমেদ জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৬.৬৪ বিলিয়ন ও ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।