বাংলাদেশের ফুটবলারদের নিয়ে করোনা নাটক!

:
: ৪ years ago

বিশ্বকাপ ও এএফসি কাপ প্রাক বাছাইপর্বকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে ৩৬ জন ফুটবলারকে। অনুমিতভাবেই সমসাময়িক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফুটবলারদের করোনা টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে সেই টেস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে নাটক। আর তাতে হুমকির মুখে পড়েছে পুরো ফুটবলটাই!

করোনা টেস্টের প্রথম দিনে গেল বুধবার (০৫ আগস্ট) ১২ জন ফুটবলারের টেস্ট করানো হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে। সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসে ১২ জনের মধ্যে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাৎক্ষণিকভাবে আক্রান্তদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হয় আইসোলেশানে। বাকি ৮ জনকে পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পের ভেন্যু গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে পাঠানো হয়।

কিন্তু ঝামেলাটা দেখা দেয় আজ। শুক্রবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রিভিউ শেষে জানানো হয় সেই ৮ জনের মধ্যে আরো ৬ জন করোনায় আক্রান্ত। অর্থাৎ ১ম দিনেই টেস্ট করানো ১২ জনের মধ্যে সবমিলিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ জনের দেহে!

গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ২য় দিনে টেস্ট করানো হয় আরো ১২ জন ফুটবলারের। এরমধ্যে সন্ধ্যায় প্রাথমিক দফায় জানানো করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন ফুটবলার। এর ঘণ্টাখানেক পর জানানো হয় করোনা পাওয়া গেছে আরো একজনের দেহে। রাত ১০ টার পর জানা যায়, করোনা পাওয়া গেছে অন্য আরো একজন ফুটবলারের দেহে। অর্থাৎ, ২য় দিনেও আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন ফুটবলার!

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে কেন এমন নাটক? এতে করে শঙ্কা তো আরো বাড়ল! প্রথম দিনে যারা নেগেটিভ প্রমাণিত হয়ে ক্যাম্পে চলে গিয়েছিলেন ২দিন পর তারা জানতে পারলেন, তারাও আক্রান্ত। কিন্তু তার আগেই তার থেকেছেন অন্য সুস্থ যারা আছেন তাদের সঙ্গে। ফলে এখন নতুন করে আবারো সবাইকে টেস্ট করতে হবে।

ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩৬ সদস্যের মধ্যে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ৩১ জন। এরমধ্যে ২ প্রবাসী ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া এবং তারিক কাজী এবং বসুন্ধরা কিংসের মাসুক মিয়া জনি সহ মোট ৫ জন ফুটবলার যোগ দেননি দলের সঙ্গে।

এখন পর্যন্ত টেস্ট করানো হয়েছে মোট ২৪ জন ফুটবলারকে। এরমধ্যে ১৭ জনই শনাক্ত হলেন করোনা পজেটিভ। এদের সঙ্গে একজন বাফুফে কর্তাও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে ২য় দফায় আবারো টেস্ট করানো হবে আগামী সোমবার (১০ আগস্ট)। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ১ম দফায় শনাক্ত হননি তারা এখন কতোটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।

সামনে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। তার আগে এমন তথৈবচ অবস্থায় ফুটবলাররা কতোটা প্রস্তুতি নিতে পারবেন? সিংহভাগ ফুটবলার যেখানে আক্রান্ত সেখানে ক্যাম্প চলবে কি করে? কিংবা এই করোনা টেস্টের বিশ্বাসযোগ্যতাই বা কি?