বাংলাদেশে ভালো মানের পেস বোলার নেই, স্পিনারদের জয়জয়কার-অনেকটা দিন এমন কথাই শুনতে হয়েছে। তবে এখন সময় বদলেছে। টাইগাররাও গতির ঝড় তোলা কয়েকজন পেসার পেয়েছে। যাদের মধ্যে জাতীয় দলের পরিচিত মুখ মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং রুবেল হোসেন।
মোস্তাফিজ তো দলে অটোমেটিক চয়েজ। গতির জন্য নয়, তার কাটারটাই বেশি কার্যকর। গতির হিসেব এলে সামনে চলে আসে রুবেলের নাম, সঙ্গে তাসকিন। নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার ও বর্তমানের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের কাছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণটা বেশ রোমাঞ্চকরই মনে হচ্ছে। তবে তার সঙ্গে কিছুটা হতাশাও আছে তার।
কঠিন এক সিরিজ খেলতে এখন নিউজিল্যান্ডে টিম বাংলাদেশ। এই দলে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো পেসার। কিন্তু একটা আক্ষেপ রয়েই গেছে, সুযোগ পেয়েও চোটের কারণে যেতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে তাসকিন যেভাবে গতির ঝড় তুলেছেন। তাতে নিউজিল্যান্ডে তার অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল বলে মনে করছেন বিপিএলেরই মাঝপথে ধারাভাষ্য দিতে বাংলাদেশে আসা ড্যানি মরিসন।
টাইগারদের পেস আক্রমণ এবং পেসারদের উঠে আসা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মরিসন বলেন, ‘তাসকিন আহমেদ, রুবেলের মতো তোমরা দারুণ কিছু পেস বোলার পেয়েছো। আমি দেশের বাইরে কিছু সুযোগ দেখছি। তাসকিন যথেষ্ট গতিময়। রুবেলও অবশ্যই যথেষ্ট গতিতে বল করে। তাদের উচ্চতা আলাদা। কয়েকজন বাঁহাতি পেসার আছে, তারাও দুর্দান্ত। তারা বল সুইং করাতে পারে। খালেদ আহমেদের মতো প্রতিভাকে দেখলাম। একই কথা বলব, সেও লম্বা। সে পিচে জোরে আঘাত করতে পারে। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে বাংলাদেশের পেসারদের দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।’
তবে সাবেক এই কিউই পেসারের কষ্ট লাগছে তাসকিনের জন্য। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই পেসার দলের বড় অস্ত্র হতে পারতো বলে মনে করছেন তিনি, ‘এটা আসলেই দুঃখজনক। সে মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করতে পারতো। তরুণদের জন্য এমন হওয়া (ইনজুরি) খুব কঠিন। তাসকিনের জন্য সমবেদনা। সে সত্যিই কার্যকর হতে পারতো।’
আরেক তরুণ খালেদ আহমেদের বোলিংও মনে ধরেছে মরিসনের। তারপরও নিউজিল্যান্ড সফরটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলেই মনে করছেন তিনি, ‘খালেদ আহমেদ আছে, আমি তাকে খুব পছন্দ করি। তবে সফরটি কঠিন হবে, তারা এখনও সেখানে টেস্ট ম্যাচ জেতেনি। হ্যামিল্টনে সুইং থাকবে। দেখা যাক, আবহাওয়া কেমন হয়। যদি গরম এবং আর্দ্রতা থাকে, ওয়েলিংটনের পিচ ফ্লাট হতে পারে। তোমরা বোধ হয় ৬০০ রানের কাছাকাছি করেও হেরেছিলে। এখানের পিচ ভালো। ক্রাইস্টচার্চে গেলে সেখানে ঠান্ডা। সেখানেও অবশ্য পিচ কিছুটা ফ্লাট হবে। একাদশে খেলার মতো কারা যথেষ্ট ফিট থাকে, সেটাই দেখার ব্যাপার।’