আবাহনীর সোহেল রানার গোল এশিয়ার সেরা হওয়ার ঘটনাটি ছিল শুক্রবারের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। একই দিন ভারতের কল্যাণী থেকে সুখবর পাঠিয়েছে কিশোর ফুটবলাররা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে লাল-সবজু জার্সিধারী কিশোররা ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভুটানকে। এ দুটি ভালো খবরের সঙ্গে নিজেদের যোগ করেছেন বাংলাদেশের দুই সাবেক নারী ফুটবলার জয়া চাকমা ও সালমা ইসলাম মনি। বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে তারা হয়েছেন ফিফা রেফারি। আজই (শুক্রবার) সুখবরটি পেয়েছেন তারা।
রাঙ্গামাটির মেয়ে জয়া চাকমা খেলা ছেড়ে ২০১০ সাল থেকে বাঁশি বাজাচ্ছেন ফুটবল মাঠে। এত দিন ঘরে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সঙ্গে ফিফা রেফারি হওয়ার স্বপ্নকে বড় করেছেন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নারী ফুটবলের কোচ জয়া চাকমার। জয়া এবং সালমা দুইজনই আগামী বছর জানুয়ারি থেকে তালিকাভুক্ত হয়ে যাবেন ফিফার। তখন বড় বড় আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাঁশি বাজাতে পারবেন বাংলাদেশের এই দুই নারী রেফারি।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম নেসার জানিয়েছেন, ‘জয়া চাকমা এবং সালমা ইসলাম মনি দুইজনই এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখন তাদের নাম পাঠিয়ে দেবো ফিফায়। আগামী বছর জানুয়ারি থেকে ফিফার তালিকাভুক্ত হয়ে যাবেন তারা।’
এই স্বপ্ন পূরণের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন জয়া। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চেষ্টায় স্বপ্নপূরণের পর শুক্রবার রাতে টেলিফোনে জয়া বলছিলেন, ‘আমার যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এর আগে দুইবার পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারিনি। স্বপ্ন থেকে সরে যাইনি। হতাশও হইনি। অবশেষে আমার স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এবার আমি নিজের ফিটনেস পরীক্ষাটা ভালোভাবে দিয়েছি। চেষ্টা করেছি পাস করতে। শেষ পর্যন্ত আমি পেরেছি।’
জয়া ২০১০ সাল থেকে রেফারি ক্যারিয়ার শুরু করলেও সালমার রেফারি হিসেবে শুরু ২০১৩ সালে। অবশেষে ছয় বছর পর সালমাও হতে যাচ্ছেন ফিফার তালিকাভুক্ত রেফারি।