বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তারা আগেও এসেছিলেন। একই জার্সি গায়ে, একই দলের জন্য লড়াই করেছেন। একজন কোচ হিসেবে, একজন খেলোয়াড় হিসেবে।
তবে বৃহস্পতিবার তাদের বঙ্গবন্ধুতে পা রাখার কারণ ভিন্ন। এবার উপলক্ষ্য বড়, দায়িত্বটা আরো বড়। বলা হচ্ছে কোচ অস্কার ব্রুজোন ও খেলোয়াড় এলিটা কিংসলের কথা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে আজ যাত্রা শুরু হলো দুইজনের।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়া এলিটা কিংসলে আজ জাতীয় দলের জার্সিতে অনুশীলন করেছেন। অস্কার ব্রুজোনকে জেমির ডের পরিবর্তে খন্ডকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের দল বসুন্ধরা কিংসের তাঁবু থেকে দুইজনই এসেছেন জাতীয় দলে।
প্রথম দিন দুই ঘণ্টার অনুশীলন শেষে দুইজনের মুখেই হাসির ঝিলিক। বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি কিংসলে,‘খুবই ভালো লাগছে। এরকম একটি দিনের অপেক্ষায় আমি ছিলাম। অনুশীলন সেশনটি বেশ ভালো কেটেছে।’ ব্রুজোন অবশ্য নিজের আবেগ লুকিয়েছেন,‘বেশ ভালো সময়ই কেটেছে। আমরা সরাসরি গেম ফরমেশন নিয়ে কাজ করছি।’
কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে প্রিমিয়ার লিগ। রেকর্ড পয়েন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ব্রুজোন ও কিংসলের রসায়ন বরাবরই অনন্য। এবার জাতীয় দলে সেই একই ধারাবাহিকতা দেখা যাবে এমনটাই প্রত্যাশা। তবে কিংসলে জানিয়ে রাখলেন,‘যখন জাতীয় দলের জার্সি পরি তখন ভিন্ন রকম লাগছিল। সামনে জাতীয় দলের কঠিন চ্যালেঞ্জ। জার্সি গায়ে নিজের সেরা পারফরম্যান্সটাই করতে হবে।’
এক সপ্তাহ পরেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তাই সরাসরি বল নিয়ে কাজ করেছেন ব্রুজোন। খেলোয়াড়দের ফিটনেসেও তিনি সন্তুষ্ট,‘বাহ্যিকভাবে আমার চোখে সবার ফিটনেস প্রায় একই পর্যায়ের মনে হয়েছে। আমরা ফিটনেসের বিষয়টি পরিমাপ করেছি। আগামীকাল (শুক্রবার) প্যারামিটার দেখে বলা যেতে পারে।’
জেমি ডের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ব্রুজোনকে চেনেন ভালোভাবে। তার কথায় মনে হলো নতুন কোচের সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারবেন তারা,‘ভালোই কেটেছে। সে তার পরিকল্পনা ও পদ্ধতির কথা বলেছে। আমাদের সবাইকে সে চেনে। তিন বছর ধরে আমরাও তাকে চিনি।’