• বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নতুন গোলরক্ষক কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন জেসন ব্রাউন।
• ৩৫ বছর বয়সী ব্রাউন ওয়েলস জাতীয় দলের ফুটবলার ছিলেন।
• ব্রাউনের কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আর্সেনাল যুব ও নারী দলের সঙ্গে।
গত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৮ ম্যাচে ৩১ গোল খেয়েছিল বাংলাদেশ। দলে গোল করার লোকের অভাবের সঙ্গে হালে যুক্ত হয়েছে গোল ঠেকানোর সমস্যা। বাছাইপর্বের দলের তিন গোলরক্ষক শহীদুল আলম, রাসেল মাহমুদ ও আশরাফুল আলম রানাদের গোল খাওয়ার ধরনও ছিল দৃষ্টিকটু। চাইলেই স্ট্রাইকার তৈরি করা যায় না; তবে গোলরক্ষকদের মান তো বাড়ানো যায়! আপাতত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সেই কাজেই মন দিচ্ছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষকদের প্রশিক্ষণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ব্রিটিশ গোলরক্ষক কোচ জেসন ব্রাউনকে। ব্রাউন নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে ওয়েলস জাতীয় দলে খেলেছেন। যদিও তাঁর জন্ম ইংল্যান্ডে, কিন্তু দাদি ওয়েলসের নাগরিক হওয়ার কারণে ওয়েলসের হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি। কাজ করেছেন আর্সেনাল যুব ও নারী দলের গোলরক্ষক কোচ হিসেবে।
লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বিকেএসপিতে চলছে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। সেখানে হেড কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ব্রাউন। তিন দিন আগে ঢাকা পৌঁছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন খুব দীর্ঘ নয় ৩৫ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক-কোচের। খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন খেলেছেন ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স, লিডস ইউনাইটেড, চার্লটন অ্যাথলেটিক ও গিলিংহামের হয়ে। ওয়েলস জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ওয়েলসের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন ৭টি ম্যাচ।
ব্রাউন কত দিন বাংলাদেশে থাকবেন, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তাঁর চুক্তির ধরনটাও কী হবে, তা নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি বাফুফে। ওর্ডের ব্যবস্থাপত্র মেনেই তাঁকে আনা। এর আগেও জাতীয় ফুটবল দলে কাজ করে গেছেন জার্মান গোলরক্ষক কোচ শোয়েচলার। কিন্তু বেশিদিন তাঁকে রাখা হয়নি। পরে যোগ দেন নিউজিল্যান্ডের রায়ান স্যানফোর্ড। কিউই এ গোলরক্ষকের কোচিং লাইসেন্স ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছিল।
দলের সঙ্গে কাজ করছেন পর্তুগিজ ট্রেনার মারিও লেমসও। ব্রিটিশ হেড কোচ, গোলরক্ষক কোচের পাশাপাশি পর্তুগিজ ট্রেনার—ইউরোপীয় কোচিং স্টাফ নিয়ে জাতীয় দলের সামনের দিনগুলো কেমন যাবে, সেটা দেখার অপেক্ষায় এখন ফুটবলপ্রেমীরা।