#

মিজানুর রহমান সোহেল, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :

হবিগঞ্জে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাজিরা দিতে এসে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন- বাংলাদেশের আদালতে কোনো স্বাধীনতা নেই। আদালত চলে শেখ হাসিনার কথা। তিনি বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধংস করে রেখেছে। নতুবা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় আটক রাখা হয়েছে সে মামলা ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামিন পাবার কথা। তাকে আড়াই মাস যাবত কারাগারে রাখা হয়েছে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জ আদালতে বেইলবন্ড দাখিল শেষে আদালাত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্টরা কখনও প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। প্রতিবাদ করলেও তারা মামলা হামলার আশ্রয় নেয়। এরই অংশ হিসাবে বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে ১১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন- বাংলাদেশে একজনই নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করেন। আর দেশের সবাইকে প্রজা মনে করেন। এটি ফ্যাসিস্টবাদের অন্যতম লক্ষন। ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল বাদি হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫শ’ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি দায়ের করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নাতনী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ এনে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর গন্যে রুজু করতে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন তখনকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সোলায়মান। ওই মামলায় মাহমুদুর রহমান হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন লাভ করেন।

মাহমুদুর রহমান জানান- রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা কি রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া করা যায়? রাষ্ট্রের কোনো অনুমোদন নাই, অথচ মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই মামলা এফআইআরও করা হয়েছে। সরকার আদালতকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। ধ্বংস করে দেয়া আদালতকে পুনরুদ্ধারে কয়েক যুগ সময় লাগবে। তিনি বলেন-আন্দোলন ছাড়া কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়নি, হবেও না। ফ্যাসিস্টরা কখনও ক্ষমতা ছাড়ে না। সরকার বিরোধী আন্দোলন সহিংস হবে না কি অহিংস হবে তা নির্ধারন করে দেয় সরকারই। আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে কী ধরনের আন্দোলন হবে তা বিরোধী দল গুলোকে বুঝতে হবে। এর আগে সকাল ১১টার দিকে মাহমুদুর রহমানকে হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গনে স্বাগত জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি শাম্মি আক্তার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ। মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজুর উদ্দিন শাহিন, সামছু মিয়া চৌধুরী প্রমূখ।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন