বাঁধনের ডিভোর্স, সন্তানের অধিকার চেয়ে মামলা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

একমাত্র সন্তান সায়রাকে নিজের কাছে রাখার অধিকার চেয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। খবরটি তিনি নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গত ৩ আগস্ট তার পক্ষ থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার কারণ হিসেবে বাঁধন বলেন, ‘গত মাসে আমার মেয়ে সায়রাকে নিয়ে যায় আমার প্রাক্তন স্বামী সনেট। এরপর এক রকম জোর করেই তাকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। সায়রা এখন কোথায় থাকবে, মা হিসেবে আমার অধিকার পেতে মামলা করেছি।’
এদিকে বাঁধনের ডিভোর্স নিয়ে এতদিন গুজব থাকলেও তার কোন অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এবার বিষয়টি নিজেই খোলাসা করেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।ঘটনার সূত্রপাত প্রসঙ্গে বাঁধনের ভাষ্য, ‘২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আমারা বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করি। এরপর অক্টোবরে সে মাতাল অবস্থায় আমাদের বাসায় হামলা করে। তারপরও চেষ্টা করেছি, যেন সম্পর্ক ঠিক হয়। আমি আবারও বিয়ে করলে হয়তো স্বামী পাবো। কিন্তু আমার মেয়ের বাবা সনেটই। তাই মেয়ের দিকে তাকিয়ে সম্পর্ক ঠিক করে ফেলতে চেয়েছি। কিন্তু মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার পরে শুনলাম সনেট বিয়ে করেছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীই মূলত আমার মেয়েকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।’
বাঁধন জানান, সায়রা এখন তার সঙ্গে আছে। গত আগস্টে বাবার বাসায় নেওয়া হয়েছিল সায়রাকে। তিনি বললেন, ‘আমার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পরদিন উনার স্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তোমার মেয়ের ভবিষ্যত হলো কানাডায়। আর আমি যদি ভালো মা হয়ে থাকি তাহলে এটাই যেন মেনে নিই। তিনি দ্রুত সায়রা ও স্বামীকে নিয়ে কানাডা যেতে চান। সায়রা আমার মেয়ে, আর আমাকেই কিনা এটা বলা হলো। কেমন করে তিনি এটা ভাবলেন আশ্চর্য হই।’
বিচ্ছেদের আগের ঘটনা প্রসঙ্গে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ খ্যাত এই তারকা বলেছেন, ‘অনেকে মনে করে আমি শিল্পীপতির স্ত্রী ছিলাম। অনেকে তো বলেও যে আমি টাকার লোভে বিয়ে করেছি। কিন্তু সত্যিটা হলো, কথিত সেই শিল্পপতি তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতো। আর তার স্ত্রী (বাঁধন) নিজে অভিনয় করে রোজগার করে আনতো! এসব নিয়ে এখন আর পড়ে থাকতে চাই না। আইন অনুযায়ী মেয়েকে আমার কাছে রাখতে চাই।’
নিজের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরে বাঁধন বললেন, ‘একদিকে মেয়েকে সামলাচ্ছি, মামলা লড়ছি। অন্যদিকে কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য কিছু মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার বাবা-মা, দুই ভাই, মেয়ের স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবকরা, আমার সহকর্মী, পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমাকে মানসিক সমর্থন দিয়েছেন। আসলে এমন পরিস্থিতে একটা মেয়ে কতটা অসহায় হয়ে পড়ে তা বলে বোঝানোর মতো নয়।’