বাঁচানো গেল না সেই রাজিয়াকে

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

স্বামীর ব্লেডের আঘাতে স্ত্রী রাজিয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাশ ভৈরবের বাসায় আনা হয়। গৃহবধূর বাবার বাড়ি ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকায়।

জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি রাতে স্বামী জুবায়ের হোসেন হৃদয় (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে পেটে আঘাত করে। পরে রাতেই তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে পরদিন তাকে বাবার বাড়ি পাঠানো হয়।

এরপর তার পরিবারের সদস্যরা গত ১৬ জানুয়ারি আহত রাজিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার রাতে স্ত্রী রাজিয়া ঢাকায় মারা যায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভৈরবের নিউটাউন এলাকার রাজিয়া বেগম আবুনির ব্রাহ্মণবাড়িয়া মধ্যপাড়ার জুবায়ের আলম হৃদয়ের সাথে ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। রাজিয়ার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। স্বামী হৃদয় শিল্পি নামের এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ নিয়ে দু’জনের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

ঘটনার দিন রাতে এসব বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে স্বামী হৃদয় স্ত্রীর পেটে ব্লেড দিয়ে একাধিক আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। এরপর ১৬ দিন পর রাজিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। তার লাশ ভৈরবে বাবার বাসায় রয়েছে।

রাজিয়ার ভাই আল আমিন জানান, হৃদয়ের ব্লেডের আঘাতে আমার বোন মারা গেছে। আমি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছি। আমার বোন হত্যার কঠোর বিচার দাবি করছি।

ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এলাকায়। আমরা লাশ দেখেছি। বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসি মো. সেলিমকে অবহিত করেছি। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মানবপাচার মামলাও রয়েছে।