বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ঢাকার ধামরাইয়ের একটি পুকুরের পাড় থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জীবিত উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রবিউল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রাম থেকে রবিউলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।

 

মারা যাওয়া রবিউল ইসলাম আশুলিয়া থানার দক্ষিণ বাইপাইলের চারালপাড়া এলাকার মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে ভাড়ারিয়া গ্রামের একটি সড়কের পাশের পুকুরের পাড়ে চটের বস্তা দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। বস্তাটি নড়াচড়া করতে দেখে লোকজন পুকুর পাড় থেকে তুলে আনেন সেটি। বস্তাটি খুললে তার ভেতর এক যুবককে আহত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফ নামে একজন জানান, ‌সড়কের পাশে পুকুরের পাড়ে একটি চটের বস্তা পড়ে ছিল। বস্তাটি নড়াচড়া করতে দেখে পুকুর পাড় থেকে তুলে আনার পর দেখি ভেতরে জীবিত মানুষ। পরে তাকে বস্তার ভেতর থেকে বের করা হয়। তার বাম পা ভাঙা ছিল ও শরীরজুড়ে মারধরের জখম ছিল। তিনি পানি পান করতে চাইছিলেন। আমরা পানি খাইয়ে মাথায় তার মাথায় পানি ঢালি। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠাই।

 

নিহতের প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঝুট ব্যবসা নিয়ে আলম ভূইয়ার পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় রবিউল ও সোহাগ নামের দুই যুবকের। এ ঘটনায় ভূইয়া পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলাও করা হয়। সেই মামলার দুই নম্বর আসামি ছিলেন মারা যাওয়া রবিউল।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত আরা জানান, মারা যাওয়া যুবকের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তার একটি পা ভাঙ্গা অবস্থায় ছিল। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পান্নু মিয়া বলেন, আমরা হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহে উদ্ধার করেছি। নিহতের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিছু কিছু অংশ থেতলে দেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এসেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।