‘বর্ষসেরা বিজ্ঞাপন নির্মাতা’ রাজীব

:
: ৬ years ago

‘পাখির নাম ময়না। ক্লাস টুতে পড়ে। পুরো সেনটেন্স বলতে পারলেই থ্রিতে উঠবে।’ টিভি বিজ্ঞাপনে এ সংলাপগুলো বলতে দেখা গিয়েছিল আদনান আল রাজীবকে। সেখানে তিনি ছিলেন একজন মডেল। এবার বর্ষসেরা বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন এই নির্মাতা। বর্ষসেরা বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে কমওয়ার্ড পুরস্কার জিতেছেন আদনান আল রাজীব। সেরা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে রানআউট ফিল্মস। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘অষ্টম কমওয়ার্ড ২০১৮’ অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন আদনান আল রাজীব। সম্প্রতি মুম্বাই থেকে ডাক পেয়েছেন এই তরুণ নির্মাতা। সেখানকার বিজ্ঞাপন বাজারে নির্মাতা হিসেবে তাঁকে উপস্থাপন করা হবে। তবে এই নির্মাতা নিজের দেশেই কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

কমওয়ার্ড পুরস্কার পেয়ে কেমন লেগেছে? রাজীব বলেন, ‘চাপ বোধ করছি। নিজের ভেতর আরও আকর্ষণীয় কাজ উপহার দেওয়ার তাগিদ অনুভব করছি।’

ভালো কাজের পেছনের প্রস্তুতি কেমন থাকে? রাজীব জানান, গুছিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন তিনি। নিজে ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ। আশপাশ, বন্ধুবান্ধব এবং টিমের সদস্যরা সবাই তেমন। সে জন্য তৃপ্তির সঙ্গে কাজ করতে পারেন তিনি। আর কাজগুলো সবার ভালো লাগে।

গত বছর আদনান আল রাজীবের পরিচালনায় ‘বিকাল বেলার পাখি’ নাটকটি বেশ প্রশংসিত হয়। নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্র বানান তিনি, নাটক তৈরি করেন খুব কম। জানালেন আসছে ভালোবাসা দিবসে একটি টেলিছবি নির্মাণের পরিকল্পনার কথা। আর সিনেমা প্রসঙ্গে জানান, নিজের গল্পগুলো নিয়ে পরিপূর্ণ তৃপ্ত হতে পারছেন না তিনি। সে জন্য সিনেমা বানানো হচ্ছে না।

কিছুদিন পরপর মাথার ভেতর একটা করে গল্প নামে রাজীবের। সেই গল্পের সঙ্গে কয়েক দিন দারুণ রোমাঞ্চকর কিছু সময় কাটান তিনি। গল্পটি নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করেন এবং একসময় উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। গতকাল রোববার রাতে সে রকম একটি গল্প আবির্ভূত হয় নির্মাতা আদনান আল রাজীবের মাথায়। ফলাফল হিসেবে কাটাতে হয়েছে আরও একটি নির্ঘুম রাত। তিনি বলেন, ‘কত নাটক সিনেমার গল্প মাথায় নিয়ে ঘুরি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর ভালো লাগে না। যেদিন গল্প ভালো লাগবে, সেদিন সিনেমা বানাব।’

এর আগে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক ফোর-জি বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণের জন্য যথাক্রমে গ্রাঁ প্রি ও সিলভার পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।