বর্তমান সরকার ডিজিটাল ও ক্রস ফায়ারের নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে-বরিশালে সরোয়ার

:
: ৪ years ago
????????????????????????????????????

শামীম আহমেদ ॥ কেন্দ্রিয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপি সভাপতি এ্যাড, মজিবর রহমান সরোয়ার আর্ন্তজাতীক গুম দিবস উপলক্ষে বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে দেশবাশীর সামনে কমেন্টমেন্ট করে এসেছিলেন তারা ক্ষমতায় এসে ক্রস ফায়ার উঠিয়ে নেবেন। পরবর্তীতে তারা সরকারে এসে নিজেদের ওয়াদা ভুলে গেছেন।

 

 

বর্তমান সরকার ডিজিটাল ও ক্রসফায়ারের নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকার ভোট ও জনগনের সরকার হলেএদেশে এধরনের কাজ করতে সাহস পেত না।

 

তারা এদেশের মানুষের মৌলিক ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকারে বসে বেপরোয়া হয়ে গেছে কাউকে কোন জবাব দিহী করছে না। তাদের পক্ষে দেশের জনগনের কোন রায় না থাকার কারনে মানুষকে খুন-গুম করে ক্ষমতা আকড়ে বসে মানুষের অধিকার রক্ষা করছে না। আমরা সরকারের এসকল কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দ্রা জানান।

 

আজ রোববার (৩০ই) আগস্ট বিকালে নগরীর কলেজ রো রোডস্থ মসজিদ লেনস্থ বরিশাল বিএম কলেজ ও সরকারী বরিশাল কলেজ ছাত্রদল নেতা ফিরোজ খাঁন কালু ও মিরাজ খানের খাঁনের বাসায় এসে গুম হয়ে যাওয়া দুই সহদরের মাতা ফিরোজা বেগমকে শান্তনা দেয়া ও কালু এবং মিরাজের জন্য দোয়া-মোনাজাত করার পূর্বে তিনি একথাগুলা বলেন। তিনি আরো বলেন কালু ও মিরাজের মা- জানে না তার দুই সন্তান কোথাই কিভাবে আছে। তারা কি বেচে আছে না কি মারা গেছে এই সরকারের সময় সেই জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে দুই ছেলে হারানো মা।

 

 

এসময় মজিবর রহমানের আসার সংবাদ পেয়ে আগে-ভাগেই উপস্থিত হন মহানগর বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান, সাবেক যুবদল নেতা খন্দকার গোলাম মোস্তফা, মহানগর ছাত্রদল সম্পাদক হুমাউন কবীর,সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক,সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হাসান তছলিম সহ বিভিন্ন দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

 

পড়ে ফিরোজ খাঁন কালু ও মিরাজের উদ্যেশে দোয়া-মোনাজাত নিজেই পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড, মজিবর রহমান সরোয়ার।

 

 

এর পূর্বে তিনি ঢাকা থেকে বিমানযোগে বরিশাল এসে আর্ন্তজাতীক গুম দিবস উপলক্ষে সরাসরি গুম হয়ে যাওয়া কালু ও মিরাজের বাসায় চলে আসেন।

 

 

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৩ই এপ্রিল মিরাজ খাঁন ও ১২ সালের ২৪ই আগস্ট বড়ভাই ফিরোজ খাঁন কালু চট্রগ্রাম থেকে নিখোঁজ ও গুম হয়ে যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পায়নি মা ফিরোজা বেগম।