বরিশাল-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। হলফনামায় তিনি নিজেকে সশিক্ষিত, মৎস্যচাষী ও রাখিমালের ব্যবসায়ী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে সিটি মেয়র পদে নির্বাচনের সময় তার আয়ের উৎস ছিল বাড়ি ভাড়া, চাকরি ও ব্যবসা। তখন এসব খাতে তার আয় দেখানো হয়েছিল আট লাখ ৩১ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমানে তার আয় দেখানো হয়েছে ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০১৮ সালে ঢাকার পূর্বাচলে প্লট ও নিকেতনে ফ্ল্যাট থাকার তথ্য উল্লেখ থাকলেও মূল্যমান উল্লেখ ছিল না। এবার নিকেতনের ফ্ল্যাটের দাম ১০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দেখানো হলেও পূর্বাচলের প্লট সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
২০১৮ সালের হলফনামায় নগদ টাকার পরিমাণ উল্লেখ ছিল আট লাখ ৮১ হাজার। তবে এবারের হলফনামায় উল্লেখ করা তার নগদ টাকার পরিমাণ দুই কোটি ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ এবং শেয়ার ডিবেঞ্চারে রয়েছে দুই লাখ টাকা। এছাড়া তার কোনো ঋণ বা আর্থিক দায় নেই।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে সাদিকের স্ত্রী লিপি আবদুল্লাহর নামে কোনো সম্পদ না থাকলেও পাঁচ বছরের ব্যবধানে স্ত্রীর নামে সম্পদ হয়েছে ১০ ভরি সোনা এবং ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৬৫ শতাংশ অকৃষি জমি।
তবে গত সিটি নির্বাচনে সাদিকের হলফনামায় কোনো মামলার কথা উল্লেখ না থাকলেও এবারের সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দুটি ফৌজদারি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য দুই মামলায়ই বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি।