অনলাইন ডেস্ক// বরিশালে প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনীতির মাঠে রয়েছেন বিএনপির ত্যাগী নেতা মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁন। ১৯৬৯ এর ছাত্র গণ সরকার বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় ছাত্র নেতা ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন চাঁন। ১৯৭১ সালে মুক্ত সংগ্রমে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন তিনি। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৮ সালে তিনি যুবদলের শহর শাখার সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৮২ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ফলে হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের শিকার সে সময়ের তরুন যুবনেতা চাঁন।

১৯৯৮-৯৯ আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে বিএনপির এই ত্যাগি নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সিনামে হলে ভাংচুর করেছে সরকারি দলের ক্যাডাররা। সে সময় তার বাড়িতেও লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা। এমনকি গুলিও চালানো হয়েছে তার উপরে। এই সময়কালে বিএনপির কোনে নেতাই বরিশালে ছিলেন না। বিএনপির অফিসও ভেঙে ফেলে হয়।

তবে এবায়েদুল হক চাঁন এর বাড়ি বরিশাল শহরে হওয়ার তার উপর হামলা মামলা বেশী হয়েছে। এমনকি বিএনপির বরিশালের রাজনীতিও তিনিই টিকিয়ে রেখেছেন সে সময়ে। বিএনপির অনেক নেতা আওয়ামীলীগের সাথে বার বার আতাত করলেও এবায়দুল হক চাঁন কখনোই আওয়ামীলীগের সাথে আতাঁত করেনি। যার কারণে ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলা, হামলা ও গ্রেফতার হন তিনি। তিনি এবার বরিশাল সদর আসনের এমপি প্রার্থী চাচ্ছেন। তিনি গুরুত্বপূর্ন এই আসনের এমপি হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারর্পাসন তারেক রহমানের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে চাচ্ছেন। তার এই চাওয়ার সাথে একমত বরিশাল বিএনপির নেতাকর্মী, তৃনমূল নেতাকর্মী ও ভোটাররা।

বিএনপির নেতাকর্মীরা ও সমর্থকরা জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ের যোগ্য প্রার্থী এবায়দুল হক চাঁন। তাকে যদি বরিশাল সদর আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রদান করা হয়, তবে সর্বোকালে বেশী ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন। আর ধানের শীর্ষের এই বিজয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারর্পাসন তারেক রহমানের হাতকে আরো শক্তিশালী করবে। বিএনপি নেতা ও ভোটাররা জানিয়েছেন, এই ত্যাগী নেতা তরুন থেকেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। মুলয়ন করেছেন দলীয় নির্দেশনা। সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিন তিনি। কিন্তু দলীয় নির্দেষে দলের মনোনয়ন দেয়া প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে আমরা বরিশাল-৫ এর এমপি দেখতে চাই। এ জন্য দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারর্পাসন তারেক রহমানের কাছে কর্মী বান্দব এই নেতাকে যেন বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয় এটা বরিশালবাসীর চাওয়া ও প্রানের দাবী।

বিএনপি নেতা এবায়েদুল হক চাঁন বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি, বরিশাল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল কোতয়ালী বিএনপির সাবেক সভাপতি, যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন শহর শাখার সাবেক সভাপতি, এ.করিম আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, খাজা মাইনউদ্দিন মাদ্রাসার সভাপতি, দি ইসলামীয়া আরবান সমবায় সমিতির সভাপতি, হাটখোলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, দি বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক, বরিশাল ইসলামীয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মমতাজ মজিদুন নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কাজীর গোরস্থান জামে মসজিদ ও গোরস্থানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।