বরিশাল সিটি মেয়র সাদিকের বাসার হোল্ডিং ট্যাক্স ১৬ গুণ বৃদ্ধি

:
: ৫ years ago

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর পৈত্রিক নিবাসের হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। আগে সিটি করপোরেশনকে মাত্র ১ হাজার ৩শ’ ৫০ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিলেও এখন ন হোল্ডিং ট্যাক্স ১৬.৬ ভাগ বৃদ্ধি করে ২২ হাজার ৪শ’ ১০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার নগর ভবনে গ্রাহক হিসেবে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ’র উপস্থিতিতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সচিব মো. ইসরাইল হোসেন এই শুনানি করেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) যথাযথভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হতো না। আগে ১৪ কোটি টাকা দাবির বিপরীতে বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হতো ১১ প্রায় কোটি টাকা। কিন্তু যথাযথভাবে মূল্যায়ন হলে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হতো প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এ কারণে আর্থিকভাবে অনেকটাই দুর্বল ছিল সিটি করপোরেশন। কিন্তু গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার পর সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ যথাযথভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে করে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেন।

এ লক্ষ্যে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে সচিব ইসরাইল হোসেনকে রাজস্ব কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানসহ রাজস্ব বিভাগকে ঢেলে সাঁজান তিনি। এরপর নতুন করে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনমূল্যায়নের জন্য সকল গ্রাহককে নোটিশ করে কর্তৃপক্ষ। গ্রাহককে নোটিশ করে বাড়ি মাপজোকের পর শুনানি শেষে নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য্য করা হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়ায়।

এরই ধারাবাহিকতায় মেয়রের পৈত্রিক বাড়ি (হোল্ডিং নং- ৫০৫) নোটিশ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার নগর ভবনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাড়ির মালিক সাবেক মন্ত্রী ১৫ আগস্টে নিহত আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের উত্তরসূরি হিসেবে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন তার নাতনি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।

এ সময় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সচিব ইসরাইল হোসেন শুনানিতে মেয়রের পৈত্রিক নিবাসে ২২ হাজার ৪শ’ ১০ টাকা নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করেন।

বিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু জানান, আগে সিটি মেয়রের পৈত্রিক নিবাসের বাড়ির ৫ হাজার টাকা মূল্যায়নের বিপরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হতো ১ হাজার ৩শ’ ৫০ টাকা। নতুন করে পুনমূল্যায়নে তার বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ৯শ’ ৬০ টাকা। কিন্তু বাড়ির মালিক শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় ১ হাজার ৫শ’ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ এবং মালিকের পরিবার বসবাস করলে ২০ ভাগ ছাড় দেওয়ার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী সিটি মেয়রের উপস্থিতিতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন শুনানি করে তার বাড়ির নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স ২২ হাজার ৪শ’ ১০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেন।

তিনি আরও বলেন, সিটি মেয়রের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিষয়টি দেখে নগরীর প্রায় ৫৫ হাজার গ্রাহকও যথাযথভাবে সময় মতো হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করবে বলে নগর ভবন আশা করে।