নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই প্রচার প্রচারণায় বেগবান করছে বড় দুই দল। তবে পিছিয়ে পড়ছে ছোট দলগুলো। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রকাশ্যে মাঠে রয়েছে। সাজাচ্ছেন নির্বাচনী কৌশল। অপর দিকে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কোন কেন্দ্রীয় নেতাকে বরিশালে দেখা যায়নি। বাম দুলের দুজন প্রার্থী থাকায় তারও এখন বিভক্ত।
আজ সকাল থেকেই মাঠে নেমে পড়ে ঢাকা থেকে আসা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম ও মীর্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহ স্থানীয় নেতা কর্মীরা।
সরোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ধানের শীষের প্রচারণা শুরু হয় চানমারী এলাকায়। কয়েকশত কর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় আশাবাদী হয়ে উঠছেন নেতা কর্মীরা। প্রতিদিনই কর্মীদের অংশগ্রহন বাড়ছে। গতকাল রাতে সদর রোডে বের হয় বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে মিছিল। এই মিছিলে প্রায় অর্ধ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়। এদিকে বিএনপি মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার নির্বাচনী প্রচারণার সময় নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খাল খনন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন।
আজ সকাল থেকেই আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী তরুণ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেডিকের এলাকায় গণ সংযোগে অংশ নেন। এর পর মেডিকেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে সৌজন্যমুলক সাক্ষাত ও সভা করেন। তিনি এ সময় নৌকার বক্সে ভোট প্রার্থনা করে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। আওয়ামীলীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, সরকার বরাদ্দ দেয়ার পরও বরিশাল সিটি করপোরেশনে বিগত পাঁচ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি বর্ধিত এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা বলছেন।
এদিকে প্রথম দিকে আলোচনায় থাকা বাসদের প্রার্থী ডাঃ মনিষা চক্রবর্তীর সঙ্গে নেতা কর্মীদের সংখ্যাও ক্রমে কমে আসছে। গতকাল তিনি কাউনিয়া এলাকায় র্নিবাচনী প্রচারনা শুরু করলেও তার সঙ্গে ৮নং দলীয় নেতা কর্মীকে দেখা গেছে। অপর দিকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা ওবায়েদুর রহমান সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার সঙ্গে এক বৈঠকে বরিশালের ইমাম সমাজ তাকে সমর্থন দিয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বরিশাল ইমাম সমিতি দাবি করেছেন এমন কোন প্রতিশ্রুতি তাকে দেয়া হয়নি। তার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোন বৈঠকও হয়নি।
বরিশালে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরুর পর থেকেই আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোন অভিযোগ উঠেনি। বড় দুই দলই সমান তালে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। কোন সহিংসতার সংবাদ মেলেনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুলিশের সতর্ক প্রহরা রয়েছে উল্লেখযোগ্য।