অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় বরিশাল সিটি কলেজের শিক্ষক ও বাকশিস নেতা মো ঃ মোসাদ্দেক হোসেনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মারধরের অভিযোগ খোদ ওই কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সুজিত কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে। মারধরের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন সিনিয়র শিক্ষক মো ঃ মোসাদ্দেক হোসেন। ১০ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর পৌণে ১ টায় বরিশাল সিটি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেতন সীট এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত টাকাসহ বিভিন্ন হিসেবে গড়মিল রয়েছে। এ নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ উত্তেজিত হয়ে সিনিয়র শিক্ষক মো ঃ মোসাদ্দেক হোসেনকে মারধর করেন। এ সময় তার ঠোটের উপরের অংশ ফেটে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় চলে যান। ঘটনায় সময় ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো ঃ মাহবুবুল ইসলাম ও প্রভাষক হাওলাদার মোঃ সাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী অধ্যাপক মো ঃ মাহবুবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষের সাথে কি হয়েছে সেটা তার কাছ থেকে না যেনে ভিকটিমের কাছ থেকে জানতে বলেন। প্রত্যক্ষদর্শী অপর শিক্ষক প্রভাষক হাওলাদার মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সীট সহ নানা বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথ ও সিনিয়র শিক্ষক মো ঃ মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারধরের মতো ঘটনা ঘটে। পরে তিনি এবং সহকারী অধ্যাপক মো ঃ মাহবুবুল ইসলাম তাদেরকে নিয়ন্ত্রনে নেয়। এ ঘটনা পরে সমাধাণ হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনায় সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে জানতে পেরেছেন অধ্যক্ষের সাথে সিনিয়র শিক্ষক মো ঃ মোসাদ্দেক হোসেনের হাতাহাতি হয়েছে। কি কারণে হাতাহাতি হয়েছে সেটা তিনি জানেন না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বরিশাল সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত কুমার দেবনাথকে বারবার ফোন (০১৭১১৯৪৩৩৫৫) করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, এ ধরণের ঘটনা দুঃখ জনক। কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তারা।