কাজল ঘোষ ॥ বিশ্বখ্যাত লেখক ও মোটিভেটর ডেল কার্নেগী তার এক উক্তিতে বলেছিলেন “যার মাঝে সীমাহীন উৎসাহ, বুদ্ধি ও একটানা কাজ করার গুণ থাকে, তবে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি”। তার এই উক্তির জীবন্ত উদাহরণ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। আজ ২৩ অক্টোবর যুবরত্ন হিসেবে খ্যাত এই নেতা ১ বছর আগে এই দিনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমরাই গড়ব আগামীর বরিশাল এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে সমূখপানে এগিয়ে যাচ্ছে তারুন্যের অহংকার সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বরিশাল নগরীকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে এবং নগরীর মানুষকে ভালো রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়র সাদিকের বিভিন্ন কর্মকা- লক্ষ করলে দেখা যাবে সফলতার পাল্লাই বেশি ভারী।
এই ১ বছরে সর্বপ্রথম মেয়র যে বিষয়টি দিয়ে বরিশালবাসীসহ সারা দেশের নজর কাড়েন তা হলো একটি পরিচ্ছন্ন দুর্গন্ধ মুক্ত নগর উপহার দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে শহরের যানবাহনসহ জনসাধারণ চলাচলের উপযোগী করার জন্য আধুনিক পেভার মেশিন দিয়ে প্রধান সড়ক নির্মাণ করেছেন। শহরের যানজট নিরসনে ডিভাইডার নির্মাণ করে যানজটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। দেশব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছেন নগরীতে পথচারীর নিরাপদে রাস্তা পারাপারের জন্য থ্রিডি জেব্রাক্রসিং নির্মাণ করে। নগরবাসীর মন জয় করেছেন নগর ভবনে স্বচ্ছতা-শৃঙ্খলা ও কর্মক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ফিরিয়ে এনে। সাথে সাথে সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট জনসম্মুখে ঘোষণা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছেন। দেশে যখন ডেঙ্গুর অবস্থা মহামারি তখন মেয়র সাদিকের নগরীতে ডেঙ্গু মশা নিধনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সফলতা অর্জন দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছে।
নগরীতে সুষ্ঠু ও সফলভাবে অসচ্ছল বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানসহ নগর ভবনে সিনিয়র সিটিজেন হেল্পডেস্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্ষার ভরা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রচেষ্টা ও সফলতা অর্জন করে দেশব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। শিশুবান্ধব বরিশাল নগরী গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে দৃষ্টিনন্দন সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক নির্মাণ ও গ্রিন সিটি পার্ক সংস্কার এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগসহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন যা নগরীর সকল শিশু ও অভিভাবকদের মন জয় করেছেন। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোর প্রবেশদ্বারে দিক নির্দেশনা সাইনবোর্ড স্থাপন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশনের সমুদয় অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া এবং বিগত বছরগুলোতে কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করে কর্মক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছেন। বরিশালের শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেওয়ারিশ কুকুরের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। এছাড়া গরিব দুঃখী মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো, খোলাধুলার মান উন্নয়ন, সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতি মুক্তকরণসহ নানা কর্মকা-ের মাধ্যমে এরই মাঝে তিনি বাংলাদেশব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার সাফল্যের মধ্যে সবচাইতে বড় অর্জন প্রতি ঈদে ঘরমুখো মানুষের পাশে থেকে রাত জেগে পরিশ্রম করে নিরাপদে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং ঈদকালীন সময়ে ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা। ইতিবাচক কাজের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ তাকে নিয়ে গর্ব করে। এখন প্রতিটি তরুণেরই স্বপ্ন মেয়র সাদিকের মতো দেশের সেবা করা। এই ১ বছরে তার সফলতা অনেক। এ সকল কর্মকান্ডের জন্য ঢাকা অবজারভারের জরিপে ২০১৮-২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নগরবাসী জানিয়েছেন, তারা সর্বদা মেয়রের পাশে আছেন। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর কর্মকা- এবং ভালো উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বরিশাল আরও সমৃদ্ধ হোক এমটাই আশা নগরবাসীর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল প্রেসক্লাব’র সাবেক সভাপতি অ্যাড. এস এম ইকবাল জানান, মেয়র সাদিকের মাঝে ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততা বিদ্যমান। নিঃসন্দেহে তিনি বরিশাল নগরীকে একটি সমৃদ্ধ নগরীতে রূপান্তর করবেন।
এ বিষয়ে প্রবীণ সাংবাদিক ও সংস্কৃতিজন অ্যাড. মানবেন্দ্র বটব্যাল জানান, বরিশাল নগরীকে সুন্দর করে সাজানো তার দায়িত্ব। তিনি তার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করছেন এবং ভবিষ্যৎতেও করবেন বলে আশা করি।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু জানান, মেয়র মহোদয় সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন। নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বরিশালকে সমৃদ্ধ নগরীতে রূপান্তর করা হবে। ভরা বর্ষা মৌসুমে রাস্তা ঘাট সংস্কারে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হলেও আগামী বছরগুলোতে নগর উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার চমক নিয়ে আসছেন মেয়র মহোদয়।
বরিশাল নিউজ এডিটরস কাউন্সিল’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রাকিব বলেন, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ জনগণের জন্য চিন্তা করেন। বরিশাল নগরীর উন্নয়নের জন্য তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ১ বছরে তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন নগরবাসীকে। আগামী ৪ বছর বরিশালকে সমৃদ্ধ নগরীতে রূপান্তর করতে একইভাবে কাজ করে যাবেন এবং সেইসাথে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে আরও অগ্রনী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা রাখছি।