বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ঈদের দিন দুপুরে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠান করেন। তবে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে যাননি বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এমনকি তাঁর অনুসারী কাউকেও দেখা যায়নি। যদিও সকালে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন আবুল খায়ের ও সাদিক আবদুল্লাহ। পরে দু’জন কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।
নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ সম্পর্কে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর চাচা। সাদিকের বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা। বরিশাল সিটি নির্বাচনে আবুল খায়ের মনোনয়ন পেলে তাঁদের পারিবারিক বিরোধ সামনে আসে।
আবুল খায়েরপন্থি আওয়ামী লীগ নেতা লস্কর নুরুল হক সমকালকে জানান, বরিশাল ক্লাবে ৬ হাজার লোকের ভোজের আয়োজন করেছিলেন নতুন মেয়র। সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তবে এ ভোজে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও তাঁর অনুসারীরা আসেননি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দলের সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। মেয়র সাদিক এবং মহানগরের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীরকে আমন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল নবনির্বাচিত মেয়রের। তিনি দাওয়াত দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।’
সাদিককে আলাদাভাবে আমন্ত্রণের প্রয়োজন নেই জানিয়ে বিলুপ্ত শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দিন মোহন বলেন, ‘সাদিক জোরেশোরে বলে বেড়াচ্ছেন– চাচা মেয়র হয়েছেন মানে আমিই মেয়র। সবাইকে নিয়ে তাঁরই তো অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত ছিল। আসলে দলের মধ্যে উপদল সৃষ্টি করতে সাদিক এখন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদের ওপর ভর করেছেন।’
জানতে চাইলে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘সাদিক আমাকে বলেছেন– বরিশাল ক্লাবের অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়র তাঁকে আমন্ত্রণ জানাননি।