বরিশাল সিটিতে কোন মেয়র প্রার্থী কত টাকা নির্বাচনী কাজে ব্যয় করতে চায়?

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ছয়জন বৈধ মেয়র প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছেন। পেলেই নামবেন আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায়।

যদিও দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কৌশলী প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। এতে তাদের ব্যয় হচ্ছে ব্যাপক।

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী ব্যয় হলফনামার হিসাবে দেখিয়েছেন কিনা; সেটি নিশ্চিত নয়। তবে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় নির্ধারিত ফরমে জমা দেওয়া নির্বাচনী ব্যয়ের তথ্যানুযায়ী, বৈধ ৬ প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী ব্যয় ধরেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। তারপরের অবস্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস।

এছাড়া সবচেয়ে কম ব্যয় ধরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার ও কামরুল আহসান রূপণ।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) কারও সহযোগিতা ছাড়া নিজস্ব আয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করার কথা জানিয়েছেন। যার মধ্যে নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস, প্রার্থীর কেন্দ্রীয় ক্যাম্প বা অফিস, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অফিস আপ্যায়ন, ঘরোয়া বৈঠক বা সভা, ভোটার স্লিপ, সিডি, যাতায়াত, মাইকিং, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ডিজিটাল ব্যানার এবং পোস্টার বাবদ খরচের হিসেব দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসও কারও সহযোগিতা ছাড়া ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্বাচনে ব্যয় করার কথা জানিয়েছেন।

আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম নির্বাচনে ব্যয় করবেন ৬ লাখ টাকা। যার মধ্যে নিজের আয় (হাদিয়া) থেকে ২ লাখ টাকা, বড়ভাই ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মো. রেজাউল করিমের কাছ থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রদত্ত দান হিসেবে ৩ লাখ টাকা এবং আ. মালেক কাফরা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রদত্ত দান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

একইভাবে জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু ৬ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। যেখানে তার নগদ তহবিল থেকে ৪ লাখ টাকা, স্ত্রী নাসরিন পারভীনের কাছ থেকে ধারবাবদ প্রাপ্য ২ লাখ টাকা ব্যয় করবেন। তবে যদি সেচ্ছায় জাকের পার্টির সদস্যবৃন্দর দেয়, তাহলে আরও কয়েক লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার নিজের ব্যবসা থেকে ৫ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন। এর বাইরে তিনি কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা নেবেন না। একইভাবে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপণও নিজ ব্যবসা থেকে ৫ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় করবেন।

সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাবে প্রার্থীরা। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইভিএম নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানো হবে।