বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের গত তিনটি নির্বাচনে দু’বার বিএনপি এবং একবার নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর দৃশ্যমান উন্নয়নে দেশব্যাপী আলোচনায় ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরন। কিন্তু উন্নয়নের সেই আলোচনায় আসতে পারেননি অপর দুই মেয়র।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার। তিনি চার বছর দায়িত্ব পালনের পর ওয়ান ইলেভেনে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যান। নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী উন্নয়নে ব্যর্থ হন তিনি। দ্বিতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নগরীর দৃশ্যমান উন্নয়ন ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। কিন্তু তৃতীয় নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরনকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তৎকালীণ জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল। নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী তিনি উন্নয়নে ব্যর্থ বলছেন অনেকেই।
বর্তমান সরকারের তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা না পেলেও বাইরে থেকে অনুদান এনে নির্বাচনী ইস্তেহারের চেয়েও নগরীর দৃশ্যমান স্থায়ী উন্নয়ন করার দাবি বিদায়ী মেয়রের।
বরিশালের জনগণ উন্নয়নের চেয়ে রাজনীতিকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে, এ জন্য দ্বিতীয় নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরন পরাজিত হয়েছিলেন, বললেন প্রফেসর সাইদুর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ, সরকারি বিএম কলেজ, বরিশাল রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৯ জন। আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচনে এই ভোটাররাই নির্বাচিত করবেন মেয়র।