বরিশাল সদর হাসপাতালে তিনদিন ধরে পানি নেই। এতে রোগীসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আন্তঃবিভাগে নতুন রোগী ভর্তি। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় অস্ত্রোপচারসহ রোগীদের স্বভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনরা বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ১১০ জন রোগী ভর্তি আছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাইসুল ইসলামের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, তিনদিন ধরে পানি না থাকায় অধিকাংশ রোগীকেই টাকা দিয়ে পানি কিনে খেতে হচ্ছে। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় হাসপাতালের মেঝে এবং বাথরুম চরম অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১১০ জন রোগী ভর্তি ছিল। গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়। বেশির ভাগই ডায়রিয়ার রোগী। পানি না থাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পানি সংকটের কারণে নতুন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার থেকে সদর হাসপাতালের পানিতে অতিরিক্ত বালু ও ময়লা পাওয়ায় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতালের গভীর নলকূপ মেরামত করতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল ও গণপূর্ত বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বরিশাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, হাসপাতালের গভীর নলকূপের ফ্লিটার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানির সঙ্গে বালু উঠছে। জরুরি ভিত্তিতে পাম্প মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।