পাশাপাশি সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও ওসব স্যালাইন রোগীদের না দিয়ে স্টোরে মজুদ রাখার অভিযোগে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের স্টোর ইনচার্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দুদক কমিশনার। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম হঠাৎ জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে ওসব স্যালাইন মজুদ ছাড়াও দায়িত্বরত দুই চিকিৎসককে কর্মস্থলে না পাওয়াসহ নানা অনিয়ম পান দুদক কমিশনার।
দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তারা। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, কলেরার স্যালাইন রোগীদেরকে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এরপর তিনি স্টোর পরিদর্শন করেন। সেখানে হাজার খানেক স্যালাইন স্টোরের ভেতরে দেখতে পান।
তার সঙ্গে থাকা দুদকের টিম স্যালাইনগুলো উদ্ধার করে। সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত কলেরার স্যালাইন রোগীদের না দিয়ে স্টোরে মজুদ রাখার অভিযোগে দায়িত্বরত স্টোর ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স মুনিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার।
পাশাপাশি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে কর্মস্থলে দুই চিকিৎসক ডেন্টাল সার্জন ডা. মাকসুদুর রহমান এবং মেডিকেল অফিসার ডা. সুপ্লব চন্দ্র ধর অনুপস্থিতসহ নানা অনিয়ম পেয়েছেন দুদক কমিশনার। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দুদক কর্মকর্তাদের পরিদর্শনকালে রোগীদের সরকারি স্যালাইন না দেয়াসহ চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেলোয়ার হোসেন কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।