বরিশাল সদর এলাকা হতে জেএমবির ০১ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

এলিট ফোর্স র‌্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে
আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র‌্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর
নিয়মিত অভিযানের ফলে জঙ্গী দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বর্তমান সময়ে
বাংলাদেশের জঙ্গীগোষ্ঠী সমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যেন পূনরায়
সংগঠিত না হতে পারে তার জন্য র‌্যাব সদা জাগ্রত। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে
র‌্যাব বরিশাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং এদের গ্রেফতারে আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহন করতে তৎপরতা শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ এর আভিযানিক দল অভিযান
পরিচালনা করে গত ৩০ আগষ্ট ২০১৮ তারিখে বরিশালের কোতয়ালী থানাধীন দড়গা বাড়ির রোড
এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এর ০১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেঃ
ক। নামঃ আব্দুল্লাহ আল মিরাজ@খালেদ সাইফুল্লাহ@সাইফুল(২৫), পিতাঃ ইব্রাহিম
খলিল, সাং-মনশাতলী, থানাঃ সদর, জেলাঃ বরগুনা।
৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এর সক্রিয় সদস্য
বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত এর কাছ হতে উগ্রপন্থী বই, অস্ত্র, গুলি, সার্কিট তৈরির
বিভিন্ন সরঞ্জাম, সিডি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ আরো জানায়, সে বরগুনা জেলার রফাচন্ডী মাদ্রাসা থেকে ২০০৬
সালে দাখিল পাস করে। এরপর মিরাজ ইলেকট্রনিক্স এর কাজ শেখার জন্য বরগুনা সদররের জনৈক মনির
(মৃত) এর “বরগুনা টেলিকম” নামে দোকানে কাজ শুরু করে। এসময় মিরাজ মনিরের মাধ্যমে
জসীমউদ্দিন রহমানীর বক্তব্য, ওয়াজ শুনে জিহাদে উদ্ধুদ্ধ হয়। মনিরের কাছে থাকা অবস্থায় তার
সাথে আতিকুর রহমান @ বাবু @ শাওন(২৪), নাজমুল@ উকিল @ রেশান, তরিকুল@ সাকিব
@ নাজমুল সাকিব, আলামিন@ হাসান @ আলমগীর, আল আমিন@ রাজীব@ আজিজুল’সহ
আরো কয়েকজন সমমনোভাবাপন্ন লোকের সাথে পরিচিত হয় এবং ধীরে ধীরে এদের সাথে
ঘনিষ্ট হয়। এক পর্যায়ে ২০১২ সালে মিরাজ মনির এর সাথে জসিমউদ্দিন রহমানীর সাথে গোপন
বৈঠক করা কালীন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে আসার পর বেশ কিছুদিন বাড়ীতে
অবস্থান করে। ২০১৪ সালে থেকে তার সাথে আবার নাজমুল, তারিকুল, সবুজ’সহ অন্যান্যদের
সাথে যোগাযোগ হয়। ঐ সময় থেকে মিরাজ এদের সহ আরো অনেকের সাথে বিভিন্ন স্থানে
গোপনে বৈঠক করে এবং জেএমবি কার্যক্রম তথা সশস্ত্র উগ্রবাদে উদ্ভুদ্ধ হয়।
নাজমুল@উকিলের নির্দেশে মিরাজ প্রশিক্ষন গ্রহন করে এবং নিজবাড়ী ও দেশের বিভিন্ন
স্থানে মাঝে মাঝে অবস্থান করত। নির্দেশ পেলে মিরাজ আদেশনুযায়ী কাজ করতে বলে মনস্থির
করে। গ্রেফতারকৃত মিরাজ সার্কিট বানাতে পারদর্শী বলে জানা যায়। মিরাজ মোবাইল
ফোনে একাধিক সিমের মাধ্যমে তার সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করত তবে একান্ত
প্রয়োজন না হলে মোবাইলে মিরাজ সিম ব্যবহার করত না। সহযোগীদের সাথে দেখার করার জন্য
মিরাজ মাঝে মাঝে নির্দেশিত স্থানে গিয়ে দেখা করত বলে জানায়।

গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ আল মিরাজ@খালেদ সাইফুল্লাহ@সাইফুল(২৫) এর নিকট
হতে (১) ০১টি পিস্তল (২) ০২টি খালী ম্যাগাজিন (৩) ০৪ রাউন্ড গুলি (৪) ১৫টি ইলেকট্রিক
সার্কিট (৫) ০১টি তাতাল (৬) ০২টি হেক্সো ব্লেড (৭) ১৬টি জিহাদী বই (৮) ০১টি
সিডি (৯) ০১টি টেবিল ঘড়ি (১০) ০১টি মোবাইল (১১) ০২টি জিহাদী পাসপোর্ট
এবং (১২) বিভিন্ন প্রকার ইলেট্রিক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
৬। গ্রেফতারকৃত মিরাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
৭। তার অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব-৮ তৎপর রয়েছে।