বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ

লেখক:
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর এসজিপি, এসইউপি, এমবিবিএস, এমফিল, এমপিএইচ, এমডিএম।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১ টায় তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর আগে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা বরণ করে নেন হাসপাতালের বর্তমান উপপরিচালক ডাঃ এস. এম. মনিরুজ্জামান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোহাম্মদ মাহামুদ হাসান, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডাঃ মোঃ রেজওয়ানুর আলম ও সিনিয়র স্টোর অফিসার ডাঃ আবদুল মোনায়েমসহ সর্বস্তরের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর এসজিপি, এসইউপি, এমবিবিএস, এমফিল, এমপিএইচ, এমডিএম কে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে ন্যস্ত করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগ দেন। তিনি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর এবং এমফিল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদানের আগে তিনি ঢাকা, বগুড়া ও রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল স্টোর এবং ডিপোও কমান্ড করেন। তিনি ফিল্ড মেডিকেল ইউনিট এবং বিডিআর ও বিজিবিতে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬৮ তম পরিচালক হিসেবে সদ্য যোগদানকারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর ১৮ টিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি জাতিসংঘের দুটি মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অসামান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য তিনি সেনা গৌরব পদক এবং সেনা উৎকর্ষ পদক এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি সেনা সদর দফতরের সামরিক সচিব শাখায়ও কাজ করেছেন। যেখানে তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে আর্মি মেডিকেল কর্পস অফিসার, ডেন্টাল কর্পস অফিসার এবং নার্সিং অফিসারদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার উপর কাজ করেছেন।

উল্লেখ্য- জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা এবং বরিশালবাসী হাসপাতালের পরিচালক পদে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী (সেনাবাহিনী) থেকে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছিল।