বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে বিগত ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি এবং চিকিৎসাধীন রোগী মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় ছিলো।
মঙ্গলবার রাতে আরটি পিসিআর ল্যাবের সব শেষ রিপোর্টে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিলো ০.৮৮ ভাগ। যা গত বছর ৮ এপ্রিল মেডিকেল কলেজে আরটি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন শনাক্তের রেকর্ড।
হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত সোমবার করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলো ২৪ জন রোগী। বিগত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে করোনা ওয়ার্ড ত্যাগ করেছেন ৪ জন রোগী। বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে কোন রোগী ভর্তি হয়নি।
এই সময়ে চিকিসাধীন রোগী মৃত্যুর হারও ছিলো শূন্যের কোটায়। গত মে মাসের পর এ নিয়ে ৫ম দিন রোগী মৃত্যু শূন্য করোনা ওয়ার্ড। বুধবার সকাল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলো ২০ জন রোগী। যা গত মে মাসের পর চিকিৎসাধীন সর্বনিম্ন রোগীর রেকর্ড।
এর আগে গত মঙ্গলবার করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন, সোমবার ১জন, রবিবার ১ জন, শনিবার ২ জন, শুক্রবার ১ জন, বৃহস্পতিবার ৩ জন এবং গত বুধবারও মৃত্যু শূন্য ছিলো করোনা ওয়ার্ড।
গত বছরের ১৭ মার্চ শেবাচিমে করোনা ওয়ার্ড চালুর পর এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৩শ’ ১জন রোগী সেখানে ভর্তি হন। যার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ হাজার ৪শ’ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গত মঙ্গলবার রাতের রিপোর্টে ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ০.৮৮ ভাগ। যা গত বছর ৮ এপ্রিল মেডিকেল কলেজে আরটি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন শনাক্তের রেকর্ড।
এর আগে গত সোমবার পিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ছিলো ৬.৬২ ভাগ, রবিবার ৪.৭৮ ভাগ, শনিবার ২.৩২ ভাগ, শুক্রবার ১.১১ ভাগ, বৃহস্পতিবার ২.৮৯ ভাগ এবং গত বুধবার ১৬.৩০ ভাগ করোনা শনাক্ত হয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাব চালুর পর গত ৫ জুলাই ল্যাবের ইতিহাসে সর্বাধিক ৭৩.৯৪ ভাগ করোনা শনাক্ত হয়।