মঙ্গলবার দুপুরে এক চিকিৎসককে তার কক্ষে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা-নবিশ চিকিৎসক ও ৫ম র্বষের কতিপয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এমন ঘটনায় বিস্মিত চিকিৎসকদের সংগঠন-বিএমএর নেতারাও। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারি রেজিস্টার ডাক্তার মাসুদ খানকে ফোন করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে ।
মেডিসিন ওর্য়াড এর রাউন্ড শেষে নিজের অফিস রুমে গেলে সেখানে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা মেডিকেল কলেজের ৪৬ তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক সজল পান্ডে ও তরিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিজবি, আশিক,শুভসহ ১০-১২ জন অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে মারধর করেন । এই কাজে বাধা দিতে গেলে হেনস্তা হতে হয় মেডিসিন ইউনিট-৩ এর সহকারি রেজিস্টার ডাক্তার মাহফুজুর রহমান ।
এসময় মাসুদ খানের চিৎকারে রোগির স্বজন ও হাসপাতালের কর্মচারিরা এগিয়ে গেলে স্থান ত্যাগ করে হামলাকারিরা । এই ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সিনিয়র চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মাঝে। অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথাও বলছেন। মেডিকেল এসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন এমন অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। হামলার ঘটনা ছোট হলেও, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে । তাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান হাসপাতালের পরিচালক।
চলতি বছরের শুরুতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিদের সঙ্গে ব্যাপক বিরোধ হয় শের-ই বাংলা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের।
সেসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই কর্মচারিকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে ইন্টার্ন হোস্টেল এর র্টচার সেলে আটকে রেখে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ রয়েছে ৪৬ তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক সজল পান্ডে ও তরিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ।
উক্ত ঘটনা তদন্তের নামে ধামাচাপা দেয়ার কারনে ডাক্তার মাসুদ খান এর উপর হামলার দু;:সাহস দেখায় হামলাকারীরা ।
এসব ঘটনার প্রভাব পড়েছে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবায় ।