বরিশাল শেবাচিমের ল্যাবের মেশিন গুলো ৬ বছর ধরে বিকল

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের মেশিনগুলোর অর্ধেকেরও বেশি অচল। ব্যক্তি মালিকানার ল্যাবের সঙ্গে হাসপাতালের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট জড়িত থাকায় বছরের পর বছর পার হলেও সরকারের ডায়াগনস্টিক মেশিন সচল হচ্ছে না। এতে ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে চিকিৎসাসেবা।

বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটির একমাত্র এমআরআই মেশিনটি ২০০৭ সালে চালু হয়। ৯ বছর কোনোমতে চললেও, গত ৬ বছর ধরে বিকল। এছাড়াও হাসপাতলের একমাত্র সিটি স্কান মেশিনটি চালু হয় ২০১৪ সালে। গত ৪ বছর ধরে বন্ধ।

আরও জানা গেছে, হাসপাতালের ২২টি ইউনিটি মোট ৪৫০টি মেশিনের মধ্যে পুরোপুরি অচল ৮৫টি আর মেরামতযোগ্য আছে ৭৪টা মেশিন। সচল রয়েছে ২৯১টি।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, সরকারি মেশিনগুলো যখন অচল, তখন হাসপাতালের আশপাশে একের পর এক গড়ে উঠছে ব্যক্তি মালিকানার ল্যাব।

রোগীদের অভিযোগ, সরকারি মেশিন নষ্টের অজুহাত দেখিয়ে বেশি টাকায় বাধ্য করা হয় বাইরের ল্যাবে পরীক্ষা করাতে। এসব ল্যাবের সঙ্গে হাসপাতালের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। অথচ ধারণ ক্ষমতার প্রতিদিন তিনগুণ বেশি রোগী সেবা নেয় এই হাসপাতাল থেকে।

শেবাচিম হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ও আউটডোর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. সৌরভ সূতার বলেন, দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন জেলার রোগীরা উন্নত চিকিৎসা নিতে শেবাচিমে আসেন।

কিন্তু রোগীর তুলনায় হাসপাতালে ডাক্তার সংকট রয়েছে। তার ওপরে আবার অনেক রোগ নির্ণয় মেশিন বিকল অবস্থায় রয়েছে। এতে রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়করী রফিকুর রহমান বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি দেখার যেন কেউ নেই।

হাসপাতালের বেশিরভাগ মেশিনই অচল; তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। আবার সেবার মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। দক্ষিণাঞ্চলের রোগীদের উন্নত কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ করা উচিত।

শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের কিছু কিছু মেশিন বিকল অবস্থায় রয়েছে। কিছু মেশিন রয়েছে মেরামত যোগ্য। এসব মেশিন মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে ৩৩টি মেশিনের ১৩৫টির চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।