বরিশাল শহর থমথমে, উৎসবের আমেজ বঙ্গবন্ধু উদ্যানে

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

ধর্মঘটের কারণে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিভাগীয় শহর বরিশালে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সকল থেকেই নগরীর সড়ক গুলোতে তেমন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। তবে মিছল আর স্লোগানে মুখোরিত হয়ে উঠেছে নগরীর চাদমারীস্থ বঙ্গবন্ধু উদ্যান। সেখানে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

শনিবার (৫ নভেম্বর) জোহরের নামাজের পর বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকে সমাবেশের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সেখানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখছেন।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের

সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন দাবি আদায়ের ধর্মঘটের কারণে বরিশালে খেয়া পারাপারের ট্রলার, লঞ্চ, বাস, মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রা টেম্পু, সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশাল নগরীর সকল সড়কে গাড়ি নেই বললেই চলে।

এছাড়া বিএনপি’র সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যানযট নিরাসনে নগরীর আমতলা জিড়ো পয়েন্ট থেকে লঞ্চ টামিনাল পর্যন্ত মেট্রোপলিটন পুলিশ বিশেষ চেক পোস্ট বসিয়ে দু-চাকার মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ‘আমরা আমাদের নিয়মিত কাজ করছি। সমাবেশস্থল ও আশপাশের সড়কে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’

 

বরিশাল নগরীর সড়কগুলোতে যানবাহন তেমন চলাচল করছে না

এদিকে সকাল থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে হাজির হাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মিরা। সমাবেশস্থলে ইতোমধ্যে ৫০ ফুট দীর্ঘ এবং ২৫ ফুট প্রস্থ একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মাঠে এবং আশপাশের বিভিন্ন সড়কে টাঙানো হয়েছে শতাধিক মাইক। এছাড়া সমাবেশস্থলে প্রজেক্টরকে ঘিরে ছিল নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি। যেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডসহ দলীয় কার্যক্রমের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবায়দুল হক চাঁন বলেন, ‘গণসমাবেশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জোহরের নামাজের পরই আনুষ্ঠানিক গনসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকালেই সমাবেশস্থলে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হওয়ায় ১০টা থেকেই সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে।’

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই নেতাকর্মীতে মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যে তৃণমূল নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

 

গণসমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতে ক্ষমতাসীনরা সব চেষ্টা করছে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সমাবেশের একদিন আগেই মাঠ পূর্ণ হয়েছে। আরও জনস্রোত আসছে।’

বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস থাকবেন প্রধান বক্তা হিসেবে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।