এলিট ফোর্স র্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। র্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে জঙ্গী/উগ্রপন্থী দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জঙ্গী/উগ্রপন্থী গোষ্ঠী সমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যেন পুনরায় সংগঠিত না হতে পারে তার জন্য র্যাব সদা জাগ্রত। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব বরিশাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গী/উগ্রপন্থীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং এদের গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে বরগুনা সদর থানাধীন বটতলা এলাকা হতে জেএমবির ০২(দুই) জন সদস্যকে গ্রেফতার করে ঃ ক। আলহাজ্ব আব্দুল আওয়াল সিরাজ(৫৪), পিতাঃ মৃত আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ মুসল্লী, সাংঃ পূর্ব গর্জন বুনিয়া, পোঃ শিয়ালিয়া, থানা ও জেলা- বরগুনা। খ। আলী হোসেন@মাইনুদ্দীন(৪৫), পিতাঃ মৃত হাবিবুল্লাহ শিকদার, সাংঃ আমড়াজুড়ি, পোঃ রোটপাড়া, থানা ও জেলা- বরগুনা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তারা ২০১২ সাল থেকে জসিম উদ্দিন রহমানীর মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্ধুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে (১) নাজমুল@উকিল, (২) আতিকুর রহমান@বাবু@ শাওন, (৩) মানিক ইসলাম@বেপারী, (৪) আব্দুল্লাহ আল মিরাজ, (৫) আব্দুল কালাম@মুহুরী, (৬) আলামিনদের মাধ্যমে জেমবি কার্যক্রমে উদ্ধুদ্ধ হয় এবং জিহাদে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুুত হয়।
বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে জানা যায় যে, ধৃত আসামীদ্বয় তাদের নিজ পেশার পাশাপাশি উগ্রপন্থী বিভিন্ন সদস্যের সাথে বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয় এবং জেএমবির প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তারা চাঁদা প্রদানের মাধ্যমে দল তৈরীর কাজ করে। তারা জেএমবির কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন জেলায় সাথী সংগ্রহের কাজে অংশ নেয়। তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জেএমবি সংগঠনের প্রচারনার কাজ চালিয়ে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তার অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-৮ তৎপর রয়েছে।