মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে ধনাঢ্য পরিবারের দুই মেয়েকে বিয়ে করায় মো. হাচিবুর রহমান ওরফে কাওছার মিয়া (১৯) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব৮) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে র্যাব-৮ (সিপিসি-১) এর পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিনের নেতৃত্ব পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. হাচিবুর রহমান ওরফে কাওছার মিয়া (১৯) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার দেউলী এলাকার খবির উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তবে তার সহযোগী মন্ত্রণালয়ের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ধারী মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে সাইফুল নামে অপর প্রতারককে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৮ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ব্রাক্ষণবাড়িয়ার গঙ্গাসার এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে হাচিবুর আনুমানিক তিন মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. কাওছার মিয়ার পরিচয় ব্যবহার করে পটুয়াখালী সদরের উত্তর হাজিখালী গ্রামের ধনাঢ্য পরিবারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক মেয়েকে বিয়ে করেন। এছাড়া হাচিবুর বিয়ের সময় ঢাকায় ভাড়ায় বসবাসরত বিলাশবহুল ফ্ল্যাটকে নিজেদের ফ্ল্যাট হিসেবে দাবি করেন এবং ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তাদের নিজস্ব জমি রয়েছে বলে মেয়ে পক্ষকে ভুয়া কাগজপত্র দেখান।
পাশাপাশি প্রতারক হাচিবুরের অপর সহযোগী মনিরুল নিজেকে মন্ত্রণালয়ের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ওই মেয়ের চাচাতো বোনকে বিয়ে করেন এবং মোটা অংকের যৌতুক আদায় করেন। শুধু তাই নয়, হাচিবুর ও মনিরুল উভয়েই ওই এলাকার অনেককেই মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
সর্বশেষ ৮-১০ দিন আগে এ দুই প্রতারক তাদের স্ত্রীদের কাছে থাকা সোনার গহনা ও ব্যবহৃত মোবাইল সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যান। এ সংক্রান্তে ভিকটিমদের পরিবার পটুয়াখালী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং অভিযুক্ত প্রতারকদের আটকের ব্যাপারে র্যাবের সহযোগিতা কামনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদস্যরা সকালে পটুয়াখালী পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাচিবুরকে আটক করেন। আটকের পর তিনি প্রতারণার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
হাচিবুর ও তার ভগ্নিপতি মনিরুল দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।