গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অভিযান চালিয়ে ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছেন বরিশাল র্যাব-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় চোরাচালান চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নগরীর রূপাতলীতে অবস্থিত র্যাব-৮ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শাশুনিয়া গ্রামের আবুল খায়ের মোল্লা (৫৭), একই এলাকার মো. টুকু মুন্সি (৩৫) এবং পাবনার আমিনপুরের রামনারায়ণপুর এলাকার রমজান মোল্লা (২৮)।
র্যাব জানায়, বরিশাল র্যাব-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সূত্রে জানতে পারেন, কয়েকজন ব্যক্তি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার শাশুনিয়া গ্রামে আবুল খায়ের মোল্লার বাড়িতে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে মূল্যবান পাথরের একটি মূর্তি বিক্রির জন্য অবস্থান করছেন।
পরে ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আবুল খায়ের মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানে অনেক পুরোনো পাথরের একটি মূর্তি পাওয়া যায়। পরে মূর্তিটি জব্দ ও আবুল খায়ের মোল্লা, টুকু মুন্সি ও রমজান মোল্লাকে আটক করা হয়।
আটক তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা চোরাচালান এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে মূল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি ছয় মাস তাদের কাছে রখেছেন।
মূর্তিটির মূল অংশের উচ্চতা ২৬ ফুট ৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি। ওজন ৩২ কেজি। পরে মূর্তিটি স্থানীয় একজন স্বর্ণকারকে দেখানো হলে এটি কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণুমূর্তি বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, মূর্তিটি আনুমানিক ৭০০ থেকে এক হাজার বছর আগে তৈরি করা। এর আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।