উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী বরিশাল মহাশ্মমানে দিপালী উৎসবকে ঘিরে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে শ্মশান দিপালী উৎসব। এ লক্ষে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দেড়শত বছরের অধিক পুরোনো মহাশ্মশানে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও সমাধিগুলো ধোয়া মোছার কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। শেষ হয়েছে সমাধিস্থলে রং ও লেখার কাজ।
মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী বরিশাল মহাশ্মশান পরিদর্শন করেন প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তারা। বরিশাল মহাশ্মশার রক্ষা সমিতির সভাপতি মানিক মুখার্জী বলেন, ‘ভূত চতুর্দ্দশীর পূন্য তিথিতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আয়োজন করা হয়েছে দিপালী উৎসবের। প্রায় দেড়’শ বছরেরও অধিক পুরনো এই শ্মশানের সমাধি পরিষ্কার ও পুরো এলাকার ধোয়া মোছার মোছার শেষ কাজ। প্রতিবছরেই এই দিনে ভারত, নেপালসহ উপমহাদেশ এবং বাহিরের অনেক দেশ থেকে প্রচুর লোকের সমাগম হয় এখানে তাই র্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ও নজরদারী থাকবে জোড়ালো। পাশাপাশি শ্মশান এলাকা জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে ২০ টি। এছাড়া ১ শত জনের একটি সেচ্ছাসেবক বাহিনী পুরো শ্মসানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে কাজ করবে।
তিনি বলেন, এবারে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার রাত ১২টা ২মিনিট পর্যন্ত শ্মশান দিপালী উৎসব পালিত হবে। তবে মূল উৎসব হবে বুধবার সন্ধ্যার সাথে সাথে। বরিশাল নগরের লাকুটিয়া খাল ঘিরে প্রায় ৪ একর জায়গায় জুরে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ মহাশ্মশান। দেড়শো বছরের অধিক সময় ধরে চলে আসা এই রেওয়াজ অনুযায়ী প্রিয়জনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে দিপালী উৎসবে জ্বালানো হয় প্রদীপ। প্রতিবছর ভূত চর্তুদশীর পূণ্য তিথিতে আয়োজন করা হয় এই পূণ্য উৎসবের।
শুধুমাত্র বরিশালের নয়, এই শশ্মানে দিপালী উৎসব দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন ভক্ত অনুসারী ও পর্যটকরা। প্রিয়জনের স্মৃতিতে মোমের আলো জ্বালানো ছাড়াও সমাধিতে তার প্রিয় খাদ্যসহ নানা উপাচার ও ফুল দিয়ে সমাধি সাজিয়ে তোলা হয়। পাশাপাশি পূর্বপুরুষের স্মৃতিতে করা হয় প্রার্থনা। তবে যাদের স্বজনরাও দিপালী উৎসবে আসেনা এখানে। সেসব সমাধিগুলোতে মহাশ্মশানের তত্ত্বাবধানে দীপ প্রজ¦লন করা হয় দিপালী উৎসবের দিন। মঙ্গলবার মহাশ্মশান পরিদর্শনে যান প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তারা।