নিয়ম বর্হিভূতভাবে উজিরপুরে গাজীরপাড় মাধ্যমি বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুষ্ঠিত নির্বাচন অনুমোদন করিয়ে নেয়ার অভিযোগে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উজিরপুর সহকারি জজ আদালতে অভিভাবক সদস্য প্রার্থী চুন্নু রাঢ়ি ও মোশারেফ খান যৌথভাবে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটির আদেশ দানে পরবর্তী দিন ধার্য্যরে নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জুয়েল আহম্মেদ, সম্পাদক প্রধানশিক্ষক, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য নাছির, আবু হানিফ খোকন, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য কৃষ্ণা হালদার, অভিভাবক সদস্য আঃ করিম বেপারী, মোঃ জলিল, দেলোয়ার হোসেন, বাদল হোসেন বেপারী, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য কহিনুর, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আরএম জিয়াউল হাসান দুলাল, উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক।
মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, গত ১৩ মে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির গঠনে সভাপতি ও সম্পাদক পরস্পর যোগসাজশে নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্র¯‘ত করা চুড়ান্ত ভোটার তালিকা ও তফসিলের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেন। একই সাথে ৩ আগস্ট তারা একতরফাভাবে গঠিত পকেট কমিটি বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন করান। উল্লেখ, গত ২৭ এপ্রিল প্র¯‘ত করা চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় চুন্নু রাঢ়ি ও মোশারেফ খানের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। এদের মধ্যে চুন্নু রাঢ়ি অভিভাবক সদস্য প্রার্থী। কিš‘ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক তাদের একদলীয় ও পক্ষাশৃত ব্যক্তিদের নির্বাচনে জয় লাভ করানোর অসৎ উদ্দেশ্যে অভিভাবক সদস্যদের মনোনয়ন ক্রয়ে বাঁধা দেন।
চুন্নু রাঢ়ি মনোনয়ন সংগ্রহ করতে না পারায় তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারেননি। এছাড়া ২৮ জানুয়ারী থেকে ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে দাতা সদস্য হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়।দাতা সদস্য হতে ২০ হাজার টাকা জমা দেয়ার বিধান থাকলেও সভাপতি ও সম্পাদক ৬ জনকে দাতা সদস্য হিসেবে বেআইনীভাবে মনোনয়নপত্র প্রদান করেন। এছাড়া অভিভাবক সদস্যের মনোনয়নপত্র গ্রহনে সভাপতি ও সম্পাদকের অনুগতরা নির্ধারিত ফি জমা না দিয়ে সদস্য হন। এ ঘটনায় বেআইনী ও অবৈধ কর্মকান্ডের কারনে বিদ্যালয়ের অপূরনীয় ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় গতকাল মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন।