বরিশালে গভীর রাতে অবৈধ বালুর ড্রেজার মেশিন, ট্রাক ও এই ব্যবসার সাথে জড়িতদের আটক করে করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। বুধবার গভীর রাস্তা নির্মান কাজ পরিদর্শন শেষে গোপন সংবাদ পেয়ে রাত ১টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুর ও বেলতলা ফেরী ঘাটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার সময় চক্রটিকে নিজে উপস্থিত হয়ে আটক করেন মেয়র।
এরপর নগরীর চাদঁমারি খেয়াঘাট, ত্রিশ গোডাউন এলাকায় কীর্তনখোলা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাক ভর্তি করার সময় আরও ৫ টি ট্রাক আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন মেয়র। এসময় সিটি মেয়র বলেন, সরকারের নিষেধ থাকার পরেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নগরী ও এর আশে পাশের শহর রক্ষাকারী বাধ ভেঙে মারাত্বক হুমকীর মুখে পড়ছে।
এভাবে চলতে থাকলে নগরীর নিম্নঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে শহর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। তিনি আরও বলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেয়রের নাম ভাঙ্গিয়ে ৩শ টাকার বালু ৭শ টাকা দরে বিক্রি করেন।
এ ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য পেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের আটক করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়রের নির্দেশে চরআবদানি বেলতলার এস কে এন্টারপ্রাইজ এর আবুল কালাম আজাদ নামের এক অবৈধ বালু ব্যবসায়ীকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী কর্তৃক এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের জেল এবং অনাদায়ে আরো ২ মাসের জেল প্রদান করা হয়।
এছাড়া নগরীর ত্রিশ গোডাউন বদ্ধভূমি এলাকা ও চাঁদমারী এলাকা থেকে মেয়রের হাতে আটক হওয়া ১৪ জন অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ও তাদের ব্যবহৃত বালু ভর্তি ট্রাক জব্দ করে আদালতে প্রেরণ করেন কোতয়ালী থানা পুলিশ।