১২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হক ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি ফিরিস্তি তুলে ধরেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোন ধরনের দাবি না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে তারা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিকেল ৫টার পর প্রতিটি হলের সামনে অবস্থান করব। এ সময় কেহ বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকে শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করব।
এর আগে সকাল থেকে তৃতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি ভিসি তুই কবে যাবি’, ‘চাইলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার’ এভাবে স্লোগান দিতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এমবিএর শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন, ম্যাথম্যাটিকস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আহমেদ সিফাত, পলিটিকাল সাইন্স শেষ বর্ষের ছাত্র শফিকুল ইসলাম, আল আমিন, মুন আলিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।