বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: ছাদেকুল আরেফিন (আরেফিন মতিন)। এর মাধ্যমে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর উপাচার্য শূন্যতা কাটালো বিশ্ববিদ্যালয়টি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (সরকারী সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়) সিনিয়র সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী ৪ বছরের জন্য তাকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে টানা ৩৪ দিন ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ২৭ মে স্বেচ্ছাছুটিতে চলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক। এরপর থেকে উপাচার্যের রুটিন দায়িক্ত পালন করছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. একেএম মাহবুব হাসান। গত ৭ অক্টোবর তাঁর মেয়াদ শেষ হলে পুরোপুরি অভিবাবকহীন হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ফলে সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয় ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

 

এদিকে নতুন উপাচার্য নিয়োগে স্বস্থি ফিরেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে। তাঁরা মনে করছেন নতুন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সকল সমস্যা সমাধানে হাত দিবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তড়িৎ গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ২০১৩ সাল থেকে রাবির ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে, ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, ২০১৩ সাল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও তিনি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়াও একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সদস্য, ২০০৪ সালে কোষাধ্যক্ষ এবং ২১১ সালে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হোন। ২০০৪ সালে রাবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও ২০১১ সালে সাধারণ সম্পাদক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি, ১৯৯৮ সালে রাবির নির্বাচিত একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালে রাবির সহকারী প্রক্ট্রর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ওই শিক্ষকের বর্তমানে ১৮টি প্রকাশনাসহ একটি বই রয়েছে এবং তাঁর তত্ত্ববধানে ৪ জন শিক্ষার্থী পিএচইডি ডিগ্রী গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনজন শিক্ষার্থীর পিএচইডি ডিগ্রীর সুপারভাইজারের দায়িত্বে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, তিনি ১৯৮৪ সালে রাবির সমাজকর্ম বিভাগ থেকে অনার্স এবং ১৯৮৫ সালে মাস্টার্স পাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ থেকে ১৯৯৩ সালে এমফিল ও একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করেন।