বরিশাল বিমানবন্দর ৪৭ বছরেও পূর্ণতা পায়নি

:
: ৬ years ago

বিভাগীয় শহর হওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও পূর্ণতা পায়নি বরিশাল বিমানবন্দর। নেই রাতে উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য রানওয়েতে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা। এ অবস্থায় ঢাকা-বরিশাল রুটের আকাশ পথের যাত্রীদের রাতে উড়োজাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতে উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য রানওয়েতে আলোর ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আকাশ থেকে খাদ্যশস্যে কীটনাশক দেয়ার জন্য ১৯৬৩ সালে বরিশালে বিমান বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। স্বাধীনতার পর কয়েক ধাপে হয়েছে এর উন্নয়ন। ১৯৯৫ সালের ১৭ জুলাই থেকে দিনের বেলা ঢাকা-বরিশাল রুটে বাণিজ্যিক বিমানের চলাচল শুরু হয়।
এরপর প্রায় দুই যুগ কেটে গেলেও এই রুটে রাতে উড়োজাহাজ চলাচল শুরুই করা যায়নি। কারণ বরিশাল বিমান বন্দরে রাতে উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য রানওয়েতে নেই যথাযথ আলোর ব্যবস্থা।

একজন যাত্রী জানান, প্রবাসীরাই মূলত এই পথে আসে, তাই আমাদেরই সমস্যা হচ্ছে। এয়ারপোর্টেই বসে থাকি।’

এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।

বরিশাল নাগরিক সমাজ যুগ্ম সম্পাদক এনায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বরিশাল এয়ারপোর্টে রাত্রিকালীন ফ্লাইট চলে না, কারণ আলোর ব্যবস্থা নেই। এটা আমার বলতে লজ্জা লাগে। আমি অনুরোধ জানাবো অবিলম্বে রাত্রিকালীন ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা করা হোক।’

অবশ্য বরিশাল বিমান বন্দরে রাতে উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান, বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক।

বরিশাল এয়ারপোর্ট এয়ারপোর্ট ম্যানেজার মোঃ হানিফ গাজী বলেন, ‘রাত্রিকালে যেন বিমান চলাচল করতে পারে এজন্য বিভিন্ন লাইটিংয়ের
ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেন্ডার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’

বরিশাল এয়ারপোর্টের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার মিটার। এখানে মাঝারি ধরণের উড়োজাহাজ দিনে ওঠানামার ব্যবস্থা রয়েছে।