বরিশাল বিভাগে ৪৬৬৯ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৯৫

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত মোট চার হাজার ৬৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর গেল ২৪ ঘণ্টায় ভেলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি ব্যতীত বিভাগের তিন জেলায় ৯১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।

পাশাপাশি সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা পিরোজপুর সদরের সেলিমের (৬০) রিপোর্টে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। ফলে এ নিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ জনে।

এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২৫ হাজার ৭৮৩ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যারমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ২১ হাজার ৫০২ জনকে। এরমধ্যে ১৮ হাজার ৩৮০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে চার হাজার ২৮১ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৮১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৭২৫ জন। এরইমধ্যে এক হাজার ২৫০ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এ পর্যন্ত শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে ৫৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় দুই হাজার ৮৬ জন, পটুয়াখালীতে ৮১৪ জন, ভোলায় ৪৪৩ জন, পিরোজপুরে ৪৮১ জন, বরগুনায় ৪৬৪ জন ও ঝালকাঠিতে ৩৮১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে দুই হাজার ২৩৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজিটিভ ৯৫ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ৩৬ জন, পটুয়াখালীতে ২৫ জন, ঝালকাঠিতে ১২ জন, বরগুনায় নয়জন, পিরোজপুরে আটজন ও ভোলায় পাঁচজন রয়েছেন।