বরিশাল বিভাগে ২৬০৯ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৫৪

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৬০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৬৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর গেল ২৪ ঘণ্টায় ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি ব্যতীত বাকি তিন জেলায় ২৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।

পাশাপাশি সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা রিমুর (৪৫) রিপোর্টে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। ফলে এ নিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে।

এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২০ হাজার ৯২৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৮ হাজার ৫৬১ জনকে। এরমধ্যে ১৫ হাজার ৪২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে দুই হাজার ৩৬৪ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত এক হাজার ২০৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা এক হাজার ২৬৭ জন। এরইমধ্যে ৬৯৪ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। যার মধ্যে ৩১ জন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় এক হাজার ৪২২ জন, পটুয়াখালীতে ৩২৬ জন, ভোলায় ২৬০ জন, পিরোজপুরে ১৯৪ জন, বরগুনায় ২১৪ জন ও ঝালকাঠিতে ১৯৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে গোটা বিভাগে ৬৮৩ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজেটিভ ৫৪ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ২০ জন, পটুয়াখালীতে ১৬ জন, ঝালকাঠিতে আটজন, পিরোজপুরে পাঁচজন, ভোলায় তিনজন ও বরগুনায় দু’জন রয়েছেন।